জঙ্গিপুর দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে একাধিক অভিযোগ দায়ের হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে অন্তত ১টি অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এসব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন সুকান্তবাবু। বরং যারা অভিযোগ করেছেন, আদালতে হলফনামা দিয়ে তাদের পদবি বদলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক টুইট করার অভিযোগে এদিন নবদ্বীপ থানায় FIR করে নবদ্বীপ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন দুপুর ১২টায় নবদ্বীপ থানায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তিনি আজ তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক টুইট করেছেন, যা রাজ্যের শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে পারে।এই অভিযোগ নবদ্বীপ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাজদীপ চট্টোপাধ্যায় জানান, আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি, যাতে রাজ্যে শান্তি বজায় থাকে।ওদিকে গত শনিবার ধর্মতলায় তাঁর বক্তব্যের জন্য সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে জাঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল নেতা তথা জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। সুকান্তবাবুর বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই ঘটনার তদন্ত করছে হুগলি জেলা সাইবার সেল।এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্তবাবু বলেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে আদালতে হলফনামা দিয়ে এই ব্যক্তির পদবী বদল করা উচিত। সঠিক নাম নেওয়া উচিত। এর পিছনে শুনছি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তাঁরও নাম হলফনামা দিয়ে বদল করা প্রয়োজন। সুকান্ত মজুমদার এসব মামলা টামলায় ভয় পায় না। অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কাছে ধর্মের থেকে পয়সাটা বড়। মাল কামাতে পারবে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হলে। আমাদের কাছে তা তো না।আমরা গুরু তেগবাহাদুরের নীতি মানি। মুন্ডু দিলেও ধর্ম দেব না।’