একাধিক জেলার সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আগেই জিতেছে। বিরোধীরা নানা অজুহাত খাঁড়া করলেও জিততে পারেনি। এবার আবার সেই একই ধারা দেখা গেল। আরও একটি সমবায় নির্বাচনে সবুজ ঝড় দেখা গেল। আর তাতেই ধরাশায়ী হয়ে গেল বিরোধীরা। এই সমবায় নির্বাচনে আবার রাম–বাম জোট করেছিল। তারপরও তাদেরকে ২৭–০ ব্যবধানে হারিয়ে শতাব্দী প্রাচীন সিইএসসি’র সমবায় ‘ইলেক্ট্রো আরবান কো–অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’ জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার জেরেই সবুজ আবিরে অকাল হোলিতে মাতলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা।
রাজ্যজুড়ে নানা নির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা, লোকসভা, পঞ্চায়েত, পুরসভা, উপনির্বাচন থেকে সমবায় নির্বাচন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সামনে রয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে এই সমবায় নির্বাচন জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯১১ সালে গড়ে উঠেছিল ‘ইলেক্ট্রো আরবান কো–অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’। এখানে বহু টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। সুতরাং এটা একটি লাভজনক সমবায়। এখানে শেষ ভোট হয়েছিল ২০১০ সালে। তখন ক্ষমতায় এসেছিল বাম–কংগ্রেস সমর্থিত কর্মী ইউনিয়ন। এবার সেই ছবিটা পাল্টে গেল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এল জয়। তিনি সিইএসসি’র শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিও।
আরও পড়ুন: দেশে বামপন্থার হাল কেমন? পরিস্থিতি জানাতে জিনপিংয়ের দেশে যাচ্ছে ফরওয়ার্ড ব্লক
এই জয়ের খবর এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। তাতে বিরোধীরা বেশ মুষড়ে পড়েছে। নানা সরকার বিরোধী আন্দোলন করলেও সাফল্য সে অর্থে আসছে না। সেটা যে কোনও নির্বাচনেই। এই জয় এসেছে বৃহস্পতিবার। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলায় সময় পেয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই খুশির মধ্যেই এমন জয় পেল ঘাসফুল শিবির। যা নিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিরোধীরা জোট বাঁধলেও ১৭টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। এখানে ১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সব কটিতেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন জিতেছে। সব মিলিয়ে সেক্ষেত্রে ২৭–০ ফলাফলের ব্যবধানে ধূলিসাৎ হয়েছে বাম–রাম জোট।’
বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন সব রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ ২০২৬ সালের ভোট। বিরোধীরা ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলকে ইস্যু করতে চেয়েছিল। সেখানে যোগ্যদের স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। যা বিরোধীদের কাছে অস্বস্তির। মুর্শিদাবাদের হিংসাকে সামনে এনে ফায়দা তুলে চেয়েছিল বিরোধীরা। সেটাও শান্ত হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক সমবায়ে নির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বারবার পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিরোধীদের।