পরিস্থিতি না বদলালে ২০৩১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে হিন্দুদের। আর আবাস যোজনায় তৈরি বাড়িগুলো দখল করে নেবে ‘ওরা’। হাওড়ার রামরাজাতলায় মন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করে এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, যে ভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে একই পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এদিন নিজের মায়ের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমার মা গায়ত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা মাখনলাল ভট্টাচার্যের হাত ধরে বরিশালের এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল হিন্দু হওয়ার কারণে। আর আমাদেরও যেদিকে যাচ্ছে ৩১ সালের পরে আমাদেরকেও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে। ভাতা আসবে যাবে। আবাস হবে, আবাস ভাঙবে - গড়বে। কিন্তু এই যে বাড়িগুলো তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন না, সব দখল করবে ওরা।’ এর পরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দখল করেছে আফগানিস্তানে। সেখানে হিন্দু, শিখ ও জৈন পার্শিদের হাতে সব থেকে বেশি সম্পদ ছিল। একদম শূন্য করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ১ শতাংশেরও কমে নামিয়ে দিয়েছে। লাহৌর - ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে সব বড় শহরে শিক্ষা, ব্যবসা, সম্পদ, অর্থ সব ছিল হিন্দু, শিখ, পার্শিদের হাতে। সেই একই ভাবে বাংলাদেশে শূন্য করার কাজ চলছে।’এদিনের সভায় হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান শ্রীমৎ স্বামী প্রদীপ্তানন্দজি মহারাজ। ছিলেন অন্যান্য মঠের প্রধানরাও। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।