বাংলা- বিহার সীমান্ত লাগোয়া মালদার মুকুন্দপুর। সেখানেই ভয়াবহ ছিনতাইয়ের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুকুন্দপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর গোপাল কেডিয়া মোড় হয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পোদ্দার। আচমকাই তাঁর চোখ লক্ষ্য করে তরল জাতীয় কিছু ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে চোখে ওই তরলটি পড়তেই জ্বালা করতে শুরু করে তাঁর। তখনই তাঁর কাছ থেকে নগদ টাকা ও সোনার অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় তারা। এরপর চিৎকার শুরু করে দেন ব্যবসায়ী। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে লোকজন চলে আসে। কিন্তু ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পগার পার হয়ে গিয়েছে। এদিকে ব্যবসায়ীর দাবি দুজন দুষ্কৃতীর মুখেই কাপড় বাঁধা ছিল। সেকারণে কারোর মুখ তিনি বুঝতে পারেননি। এদিকে বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে প্রকৃত ঘটনা কী হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এদিকে গোটা ঘটনায় অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচন্ড উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ সম্ভবত ভিনরাজ্য থেকে দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালিয়ে ফের চলে যাচ্ছে। অবিলম্বে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীর জামাইবাবু জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা চোখে কিছু দিয়ে দেয়। তখনই বেহুঁশ হয়ে যায়। কথা ঠিক করে বলতে পারছে না। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যায়। চোখে কী ধরনের রাসায়নিক দেওয়া হয়েছে বোঝা যাচ্ছে না।