হোটেলের ঘর যে পান্ডা ঠিক করে দেবেন তাঁকে দিয়েই পুজো দিতে হবে। সেটা না হলে মিলবে না ঘর। তারাপীঠের হোটেল পর্যটকদের উপর এমন অনৈতিক ফতোয়া জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হোটেলের ঘর দেখে পছন্দ করে ভাড়া ঠিক হওয়ার পরই হোটেল থেকে জানানো হচ্ছে এই নয়া ফতোয়া। কোন পান্ডাকে দিয়ে মন্দিরে পুজো দেবেন সেটা ঠিক করে দেবেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এই প্রচ্ছন্ন ফতোয়া অনেক পর্যটকই সহ্য করেছেন গত কয়েকদিনে। এই বিষয়টি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল তারাপীঠ হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে বহু পর্যটক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন নিজেদের পূর্ব পরিচিত পান্ডাকে দিয়ে পুজো দিতে না পারার জন্য। এমন ঘটনা যে ঘটছে সেটার সত্যতা স্বীকার করেছেন হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি। তিনি বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, পর্যটকদের উপর এমন ফতোয়া চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তারাপীঠ মন্দিরে পুজোর বিষয়ে আমরা কেউ যুক্ত থাকব না। যদি কোনও হোটেল পর্যটকদের সঙ্গে এমন চাপের আচরণ করলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সাধক বামাক্ষ্যাপার সিদ্ধিলাভের তারাপীঠে সারা বছরই লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন। পুজো দিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নেন। রাতে থাকার জন্য তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল।
আরও পড়ুন: যখন খুশি প্রাইভেট প্র্যাকটিস নয়, সময় বেঁধে সরকারি ডাক্তারদের ফরমান স্বাস্থ্য দফতরের
অন্যদিকে দালালরা পর্যটকদের হোটেলে নিয়ে গিয়ে ঘর ভাড়া করিয়ে দেন। বিনিময়ে হোটেল মালিকদের কাছ থেকে কমিশন নেন। সম্প্রতি কিছু হোটেল পর্যটকদের উপর অলিখিত ফতোয়া জারি করেছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন দালালরা এবং পর্যটকরা। হোটেল কর্তৃপক্ষের ঠিক করে দেওয়া পান্ডাকে দিয়েই পুজো দিতে বাধ্য করার ঘটনায় এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দালালরা পুজো দেওয়াতে পারেন না। কারণ তাঁরা পান্ডা নন মন্দিরের। আর পর্যটকরা এই ফতোয়া মেনে নিতে নারাজ। কারণ তাঁদের অনেকেরই চেনা পান্ডা রয়েছে। সেটা করতে চাইলেই ঘর মিলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ।