হুগলি জেলার গোঘাটের কিষাণ মান্ডিতে নির্দিষ্ট দিনে কৃষকদের ধান আনতে বলা হয়েছিল। সেইমতোই সেখানে তারা ধান নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, মিল মালিকরা তাদের বলেছিল যে প্রতি কুইন্টালে ৫–১০ কেজি ধান ধলতা দিলে তবেই তারা তারা ধান সংগ্রহ করবে। তাতে রাজি না হওয়ায় কৃষকরা ধান ক্রয় কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এই অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে কৃষকদের মারধরের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কিষান মান্ডিতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল। সেক্ষেত্রে কৃষকদের ধান বিক্রির জন্য প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। পাশাপাশি ওজনে কারচুপিরও অভিযোগ সামনে এসেছে। এরই প্রতিবাদে হুগলির গৌঘাটের কিষান মান্ডিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। কিন্তু সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কৃষকদের গালিগালাজ এবং মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরব হতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঘটনায় তিনি পুলিশের নিন্দা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।
শুভেন্দুর দাবি, হুগলি জেলার গোঘাটের কিষাণ মান্ডিতে নির্দিষ্ট দিনে কৃষকদের ধান আনতে বলা হয়েছিল। সেইমতোই সেখানে তারা ধান নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, মিল মালিকরা তাদের বলেছিল যে প্রতি কুইন্টালে ৫–১০ কেজি ধান ধলতা দিলে তবেই তারা তারা ধান সংগ্রহ করবে। তাতে রাজি না হওয়ায় কৃষকরা ধান ক্রয় কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কৃষকরা জানান, তারা ইতিমধ্যে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছেছেন তাই তাদের পক্ষে ধান ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সেক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। ধান ক্রয় কর্মকর্তা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি সেখানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু ৩–৪ ঘণ্টা পরেও সেখানে এসে পৌঁছননি ওই আধিকারিক। শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষকরা সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করেন।