আচমকা জঙ্গলমহল ছেড়ে ছত্তিশগড়ের দিকে রওনা দিল দুই ব্যাটালিয়নের ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিহত সিপিআইয়ের (মাওবাদী) শীর্ষ নেতা কিষাণজির মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক তিনদিন আগে শুক্রবার রাতে তাঁরা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ওঠেন বিশেষ ট্রেনে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে হঠাৎ কেন জঙ্গলমহল ছাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনী? এই নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।পুরুলিয়া–ঝাড়খণ্ড সীমানায় সম্প্রতি মাওবাদীদের আনাগোনা বেড়েছে। পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে গত কয়েকমাসে উদ্ধার হয়েছে একাধিক মাওবাদী পোস্টাক। এই পরিস্থিতিতে এভাবে বিপুল পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নিল কেন্দ্র। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা ছড়ায় এবার চাপ বাড়ল রাজ্য পুলিশের। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জঙ্গলমহলের দুই জেলা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ওই শিবিরগুলির দায়িত্ব আপাতত নেবে রাজ্য পুলিশ।প্রতি বছর ২৪ নভেম্বর কিষাণজির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের প্রত্যেকটি মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে শহিদ সপ্তাহ পালন করে সিপিআই (মাওবাদী)। তাঁদের কিছু নির্দিষ্ট কর্মসূচিও থাকে। আর এমন সয় কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা ছাড়ায় অনেকটাই বিপাকে পড়ল রাজ্য পুলিশ। এ ব্যপারে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী তথা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘হঠাৎ করে এভাবে দুই ব্যাটেলিয়নের ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার পেছনে রাজনীতি রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর ছত্তিশগড়ের সিআরপিএফ আইজি–র সঙ্গে বৈঠক করে দুই ব্যাটেলিয়নের অ্যাডভান্স টিম। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূম— জঙ্গলমহলের এই এলাকা মিলিয়ে কোবরা ছাড়া সিআরপিএফের মোট ৭টি ব্যাটেলিয়ন ছিল। দুটি ব্যাটেলিয়ন চলে যাওয়ায় এখন জঙ্গলমহলে রইল ৫ ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী।