মেডিক্যালের ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভব্য আচরণ এবং অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের। ওই কলেজেরই এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ডিপ্লোমা ইন ল্যাব টেকনোলজিস্ট কোর্সের ছাত্রীরা এই অভিযোগ তুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার প্রতিবাদ করায় চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা তরুণীকে, পড়ে চোখে গুরুতর চোট
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার। কলেজের আউটডোর ল্যাবরেটরি সেকশনে। অভিযোগ, ল্যাবের কাজ চলাকালীন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর হাতে জোর করে টান দেন অভিযুক্ত টেকনিশিয়ান। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ জানালে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আরও এক ছাত্রী-সহ দু’জন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানকে আপাতত এমন একটি বিভাগে বদলি করা হবে, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ থাকবে না।
অভিযোগকারিণী ছাত্রীর পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ছাত্রীর অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই ল্যাব টেকনিশিয়ান তাঁর সঙ্গে অস্বস্তিকরভাবে কথা বলছ। মাঝেমধ্যেই হাত ধরার চেষ্টা করত। এবারও তেমনই করেন। তখন তিনি হাত সরিয়ে নেন। এরপরেই অভিযুক্ত ছাত্রীর গায়ে হাত তোলে। ছাত্রী জানান, প্রিন্সিপ্যালের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
প্রিন্সিপাল জানান, ঘটনাটি গুরুতর। ছাত্রীর গায়ে হাত তোলা একেবারে ঠিক নয়। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে অন্যত্র বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনকে বিষয়টি জানানো হবে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানের সঙ্গে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।