করোনা পরিস্থিতিতে রোড ট্যাক্স ছাড়ের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে জমি, বাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হল রাজ্য বাজেটে। কমানো হল দলিল রেজিস্ট্রেশনের খরচও।এদিন রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিধানসভায় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হল। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় পার্থবাবুই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন। চলতি অর্থবর্ষে ৩ লাখ ৮ হাজার ৭২৭ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। প্রস্তাবিত বাজেটে রোড ট্যাক্স ছাড়ের সময়সীমা ৩১ জুন থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। পাশাপাশি জমি ও বিক্রির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটিও ২ শতাংশ কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে দলিল রেজিস্ট্রেশনের বাজারদর ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ৪টি নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্প ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ক্যাম্প করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে রান্নার গ্যাসে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতেও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য থেকে ৩.৭১ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র। পোট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করা হয়েছে। এবারের প্রস্তাবিত রাজ্য বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ১১৪৪৭৭ কোটি টাকা। শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ১২৯১৯১ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই খাতে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ২১৭১.৭৮ কোটি টাকা। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ৯১২৫ কোটি টাকা। সুন্দরবন উন্নয়নে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৭৩.৫৩ কোটি টাকা।