সান্দাকফুতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দমদমের যুবতী পর্যটক। আর সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। এভাবে বেড়াতে এসে মারা যাবেন যুবতী তা কেউ ভাবতেও পারেননি। সান্দাকফু থেকে ঘুরে টুমলিঙে এসেছিলেন ওই যুবতী। আর সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। দমদমের অশোকনগরের বাসিন্দা ওই যুবতী। ২৮ বছরের ওই যুবতী বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার মাঝরাতে ওই যুবতী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বন্ধুরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনার পরই অনেকের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বন্ধুরা কোনও খারাপ কাজ করেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আবার ওই যুবতীর মৃত্যু স্বাভাবিক কিনা তা নিয়েও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। নেপথ্যে খুন নয় তো? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। মৃত যুবতীর নাম অঙ্কিতা ঘোষ (২৮)। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন সান্দাকফুতে। আর মঙ্গলবার নেমে এসে টুমলিঙের একটি হোম–স্টেতে ওঠেন। মাঝরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুরা নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হরিদ্বারের গঙ্গার জল পানের পক্ষে নিরাপদ নয়, সাফ জানিয়ে দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ
ওই যুবতীর এমন কী হল? রাতারাতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া নিয়ে অনেকের নানারকম মত তৈরি হয়েছে। বন্ধুরা প্রথমে অঙ্কিতাকে নিয়ে যান সুখিয়াপোখরি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। যুবতীর সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর সঠিক কারণ অজানা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। তাতেই মৃত্যু হয় যুবতীর। কদিন আগে দার্জিলিং থেকে সান্দাকফু ঘুরতে এসে মারা যান এক পর্যটক। তাঁর নাম আশিস ভট্টাচার্য (৬৫)। তিনি কলকাতার ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পর পর এমন ঘটনা ঘটায় সান্দাকফু যাওয়ার আগে মেডিক্যাল টেস্ট বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। তার মধ্যেই আর এক পর্যটকের মৃত্যু হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ল জেলা প্রশাসনের। যুবতী পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার শোকপ্রকাশ করেছেন পর্যটন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা মর্মান্তিক একটা ঘটনা। ওই যুবতী পর্যটক সান্দাকফু থেকে ঘুরে টুমলিঙে নেমেছিলেন। টুমলিঙে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’