পথ দুর্ঘটনায় বারবার প্রাণ যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সম্প্রীতি উড়ালপুলে। এই নিয়ে জোর চর্চাও হয়েছে। কিন্তু পথ দুর্ঘটনা ঠেকানো যায়নি। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে এবার মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে বসল অটোমেটিক স্পিড লিমিট বার। যার মাধ্যমে গাড়ির বেপরোয়া গতিতে রাশ টানা সম্ভব হবে। কারণ এবার ইচ্ছে মতো গতিতে গাড়ি চালালেই দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা। তার সঙ্গে জুটবে শাস্তিও। এই স্পিড বার গাড়ির তীব্র গতিকে চিহ্নিত করে ছবি তুলে ফেলবে। সুতরাং পালিয়ে যাওয়া কোনও রাস্তা নেই।
এই অটোমেটিক স্পিড লিমিট বার বসানো হয়েছে সম্প্রীতি উড়ালপুলের মাঝখানে। যেখান থেকে দু’দিকই নজর রাখা সম্ভব হবে। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির বার পথ দুর্ঘটনা রুখতে কাজে আসবে। এখন এই অটোমেটিক স্পিড লিমিট বার কেমন কাজ করে দেখে নিয়ে আগামী দিনে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই সম্প্রীতি উড়ালপুলে পর্যায়ক্রমে আরও বেশ কয়েকটি স্পিড লিমিট বার বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার যান শাসন বিভাগের এক অফিসার। এখন এই বার দেখা যাচ্ছে সম্প্রীতি উড়ালপুলে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের হাত থেকে ৬ বছরের শিশুকে বাঁচাল বাঁদরের দল, ঘটনাস্থল থেকে চম্পট আগন্তুক
এই অটোমেটিক স্পিড লিমিট বার পথ দুর্ঘটনায় কতটা কাজে আসে সেটা এখন দেখে নিতে চাইছেন পুলিশ অফিসাররা। এক ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ বলেন, ‘এতদিন বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলছিল। সেটা করেও বেঁচে যাচ্ছিলেন চালকরা। এবার আর সেটা করতে পারবে না। কারণ এই অটোমেটিক স্পিড লিমিট বারে ধরা পড়বে, গাড়ি কত কিমি স্পিডে ছুটছিল–সহ নানা বিষয়। এই স্পিড বারে গাড়ির ছবিও উঠে যাবে তাতে থাকে ক্যামেরায়।’ আর ধরা পড়লেই জরিমানার মেসেজ সরাসরি চলে যাবে চালক বা মালিকের মোবাইলে। এই অটোমেটিক স্পিড লিমিট বার এখন থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার কার্যালয় পৈলান থেকে। পরে সেটি মহেশতলা ট্রাফিক পুলিশের অধীনে আসবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রীতি উড়ালপুল শুরু হয়েছে জিনজিরা বাজার থেকে। আর সেটি বাটা মোড় পর্যন্ত গিয়েছে। এই উড়ালপুলে গত কয়েক বছরে পথ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর তার মূল কারণ তীব্র গতি। এই উড়ালপুলের উপর থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিল গাড়ি। মোটরবাইক–গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা বারবার ঘটেছে। প্রাণ গিয়েছে একাধিক ব্যক্তির। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের কাছাকাছি মানুষের। সম্প্রীতি উড়ালপুলের ক্ষেত্রে আগে কখনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনেকেই এই পথ দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন। তারপরই তৎপর হন সাংসদ। আর তাঁর উদ্যোগেই সম্প্রীতি উড়ালপুলে বসল স্পিড লিমিট বার।