সংশোধনাগারে বন্দি এক যুবকের কাছে পাওয়া গিয়েছিল গাঁজার পুরিয়া। আর সেই অভিযোগে প্রকাশ্যে বন্দিকে বেধড়ক মারধর করল পুলিশ। লাথিও মারা হল যুবককে। এমনই অভিযোগ উঠল হাওড়া আদালত চত্বরে। এই অভিযোগ ওঠার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই, এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বন্দির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের হাওড়া পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলে হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেশ কয়েকজন বন্দিকে সংশোধনাগার থেকে হাওড়া আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল। তাদের গাড়ি থেকে নামানোর সময় এক যুবকের কাছ থেকে গাঁজার পুড়িয়া উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই বন্দিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা প্রকাশ্যে ওই বন্দিকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। পরে অবশ্য ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবাদে সরব হয়েছেন হাওড়া আদালতের আইনজীবীরা। তাদের মতে, 'কেউ যদি অপরাধমূলক কাজ করে থাকে তাহলে তাদের গ্রেফতার করা যায়। কিন্তু, প্রকাশ্যে এভাবে মারধর করা মানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। তাদের মতে, 'পুলিশের এই ধরনের কাজ করা উচিত হয়নি।' অন্যদিকে, মন্ত্রী অরূপ রায়ও এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, 'এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারত। তবে প্রকাশ্যে এভাবে এক বন্দিকে মারধর করা একেবারেই উচিত কাজ হয়নি।'