হাঁসগুলির মালিকের নাম ইতি বিশ্বাস। তাঁর স্বামীর হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। আবার তাদের একমাত্র ছেলের ব্লাড ক্যানসার। তিনি কোনওভাবে ঝালমুড়ি বিক্রি করে এবং হাঁসের ডিম বিক্রি করে সংসার চালান। অতি কষ্টের সংসারে তাদের পরিবারে একমাত্র সুস্থ সদস্য বলতে ছিল এই হাঁসগুলি।
হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি
বিষ দিয়ে খুন করা হয়েছে হাঁস। তাই হাঁসের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এমন ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার সিংহীবাগানে। ওই এলাকার এক বাসিন্দার তিনটি হাঁসকে বিষ মিশিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হাঁসগুলির দেহের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে জেলার পশু হাসপাতালে সেই সুবিধা না থাকায় হাঁসের দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, হাঁসগুলির মালিকের নাম ইতি বিশ্বাস। তাঁর স্বামীর হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। আবার তাদের একমাত্র ছেলের ব্লাড ক্যানসার। তিনি কোনওভাবে ঝালমুড়ি বিক্রি করে এবং হাঁসের ডিম বিক্রি করে সংসার চালান। অতি কষ্টের সংসারে তাদের পরিবারে একমাত্র সুস্থ সদস্য বলতে ছিল এই হাঁসগুলি। সব মিলিয়ে তাঁর ১০টি হাঁস রয়েছে। হাঁসের ডিম থেকে যা আয় হয় তা সংসার চালানোর কাজে তিনি ব্যবহার করেন। কিন্তু, শনিবার হঠাৎ করে দেখেন ৪টি হাঁস ছটফট করছে। তারপর দেখেন তাদের পাশে একটি মুড়ির প্যাকেট পড়ে রয়েছে। সন্দেহ হতেই তিনি মুড়ির প্যাকেট শুঁকে বিষের মতো ঝাঁঝালো গন্ধ পান। এরপর অবশ্য হাঁসগুলির মৃত্যু হয়। ইতির অভিযোগ, কেউ শত্রুতা করার জন্যই মুড়ির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হাঁসগুলিকে মেরে ফেলেছে।