পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার বসছে দুয়ারে সরকার শিবির। তবে এবার গ্রামে গ্রামে দেখা দিতে শুরু করেছে দুয়ারে পুলিশ! শুনতে অবাক লাগলেও এখন এটাই বাস্তব। যদিও সরকারিভাবে এমন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু কাজটা তেমন ঘটছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতবাক। কারণ পুলিশ এমনভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর ঘটনা কার্যত বিরল। হুগলির পোলবা এই ঘটনার সাক্ষী থাকল।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দেখা গেল একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন পোলবা থানার ওসি অরূপ কুমার মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও পুলিশকর্মীরা। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সমস্যা জানার চেষ্টা করছেন। পুলিশের পক্ষে যতটা সমাধান করা যায় সেটা করা হচ্ছে। এভাবে পুলিশের বাড়ির দুয়ারে এসে মানুষের খোঁজখবর নেওয়ার ঘটনা আগে দেখেননি কেউ। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা খুশি। কারণ থানায় যেতে হল না অথচ সমস্ত বিষয়টা জানিয়ে দেওয়া যাচ্ছে।
ঠিক কী কথা হচ্ছে? গ্রামবাসীদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ জানতে চাইছে, রাস্তাঘাট, পানীয় জল–সহ অন্যান্য সামাজিক পরিষেবা ঠিকঠাক আছে কিনা। আর প্রশ্ন করেন, ‘বিডিও অফিস বা থানায় গেলে যথাযথ ব্যবহার পান? আপনাদের কথা শোনা হয়?’ স্থানীয় বীরেন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার সাঁতরা বলেন, ‘এটা দেখে খুব ভাল লাগছে যে এই প্রথম কোন প্রশাসনের মানুষ এলাকায় এসে মানুষের খবর নিচ্ছেন। আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি। এখানে রাস্তায় পিচের দরকার, নদীর সেতুটা চওড়া করা খুব প্রয়োজন। পুলিশও আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করবেন।’
কী বলছে তৃণমূল–বিজেপি? এই ঘটনাকে নিয়েও রাজনীতি করতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুরেশ সাউ ঘটনার কথা জানতে পেরে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এতটাই দুর্নীতি করে ফেলেছে যে, মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না। তাই পুলিশকে পাঠাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে ওরা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।’ যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘পুলিশকে মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে এই কথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন।’ আবার অনেকে বলছেন, পুলিশ নিজের ভাবমূর্তি পাল্টাতে এই কাজ করছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup