গ্রামের গরিব নাবালিকাদের দিয়ে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ উঠল। অর্থ রোজগারের টোপ দিয়ে তাদের নিয়ে আসা হতো। তারপরই খদ্দেরকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। এবার এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার মাঝরাতে অভিযান চালায় বহরমপুর থানার পুলিশ। এখানের বিভিন্ন হোটেলে হানা দেয় পুলিশকর্মীরা। রাজ্যের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন সোমা ভৌমিকও তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। বহরমপুর শহরের ফরাসডাঙা এলাকায় বেশ কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানেই একাধিক হোটেলের মালিক–সহ প্রায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বহরমপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের গরিব মেয়েদের টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে মধুচক্রে সামিল করা হচ্ছিল। রাতের অন্ধকারে হোটেলের ঘরে খদ্দের ঢুকিয়ে দিয়ে যৌনতা চরমে তোলা হতো। গ্রামের মেয়েরা একবার এই ফাঁদে পড়ে আর ফিরে আসতে পারত না। এমন সব অভিযোগ পুলিশের কাছে আসছিল। এই এলাকায় নাবালিকাদের দিয়ে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। সঙ্গে রাখা হয় রাজ্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন চেয়ারপার্সনকেও। এরপর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই বহরমপুরের সন্দেহভাজন হোটেলগুলিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
ঠিক কী বলছেন চেয়ারপার্সন? এই মধুচক্র বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। গ্রামের মানুষজন এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। এই বিষয়ে রাজ্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন চেয়ারপার্সন সোমা ভৌমিক বলেন, ‘গ্রামের থেকে গরিব মেয়েদের নিয়ে এসে এখানে দেহব্যবসা করা হচ্ছিল। আপাতত আমরা এই মেয়েদের হোমে রাখব। আর তাদের বাড়ি খুঁজে বের করব। তাঁরা যাতে সরকারি সাহায্য পান, সেই বিষয়টিও আমরা দেখব। আমরা সবসময় পাশে রয়েছি।’