বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এক মাসের শিশুকে বিক্রির চেষ্টা! এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেল মালবাজারে। অভিযোগ, এক দম্পতি শিশুকে কোলে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রির চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা ওই দম্পতিকে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনায় দম্পতিকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মালবাজারের টাউন স্টেশন এলাকায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দম্পতি। তবে তাঁরা সত্যি সত্যিই শিশু বিক্রির চেষ্টা করছিলেন কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: 'হ্যারি পটারকে পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ড দেবেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী')
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফুটপাথ থেকে শিশু চুরি, বিক্রির ছক বানচাল পুলিশের, বিহার থেকে হল উদ্ধার
জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজেশ মিশ্র এবং অনিতা ওরাওঁ মিশ্র। তাঁরা দেবপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা। নিজেদের দম্পতি বলেই দাবি করেছেন দুজনে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকালে দুজনে মাল লাগোয়া রাজা চা বাগানের পাকা লাইনে বাচ্চা কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় এক যুবক তাঁদের কাছে আসে। তখন তাঁদের মধ্যে শিশুর দাম নিয়ে দর কষাঘষি হয়। সেই সময় রাজেশ উচ্চস্বরে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলেন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন USA, বড় মন্তব্য তুলসির)
আরও পড়ুন: মমতার অক্সফোর্ডে যাওয়া নিয়ে 'জলঘোলা', মুখ খুলে পালটা আক্রমণ তৃণমূলের
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজেশ সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তাতে আশেপাশের লোকজন শিশু বিক্রি নিয়ে সন্দেহ করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান যুবক। এরপর ওই দম্পতি বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে শিশু বিক্রির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তারা বেশ কয়েকজনের বাড়িতে এরজন্য ঘোরাঘুরি করে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানাতেই দম্পতি সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে শিশু সহ তারা আশ্রয় নেন মাল টাউন স্টেশনে। সেখানে তাঁদের ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে রাজেশ ও অনিতা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে তাঁরা দুজনের কথা বার্তায় গড়মিল খুঁজে পান। খবর দেন মালবাজার থানায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে দম্পতি শিশু বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, শিশুকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন। তাহলে তাঁরা ওই এলাকায় কী করছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।