দলীয় কোন্দলেই খুন হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, দাবি করেছিল বিরোধীরা। ঘটনার প্রায় ৬ বছর পর সত্যি হল সেই আশঙ্কা। কেশিয়াড়ির ডাডরা গ্রামের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ঝড়েশ্বর সাঁতরা খুনে দলেরই বহিষ্কৃত নেতা ফটিক পাহাড়িকে গ্রেফতার করল CID. সম্প্রতি দলের হুইপ অমান্য করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেন ফটিক। তার পরই তাঁকে পুরনো মামলায় ধরল পুলিশ।২০১৭ সালে খুন হন ডাডরা গ্রামের তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান মৃত্যুঞ্জয়বাবু। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তির ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার পর তাঁকে কোপানো হয়। শেষে চোখ উপড়ে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। ৬ বছর পর ফটিক পাহাড়ির গ্রেফতারিতে প্রতিষ্ঠিত হল সেই দাবি। শুক্রবার গভীর রাতে দিঘার হোটেল থেকে ফটিককে গ্রেফতার করে সিআইডি। সঙ্গে আরও ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ফোন বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ফটিক। শনিবার তাঁকে মেদিনীপুর আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।তবে ফটিক পাহাড়ির ঘনিষ্ঠদের দাবি, কলকাতার বাবুদের নির্দেশ মানতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করানো হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়ে। ২৭ সদস্যের পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৩ জন তৃণমূলের। তার মধ্যে ১৫ জন ফটিকবাবুকেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে চান। কিন্তু কলকাতা থেকে নাম এসেছে উত্তম শীটের। গত ১০ অগাস্ট কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূলের দড়ি টানাটানির জেরে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়। এর পর ফটিককে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পালটা আদালতের দ্বারস্থ হন ফটিকসহ পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য। এরই মধ্যে খুনের পুরনো মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করল CID.