মন্দারমণিতে উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে নেমেই বিপদ! নিখোঁজ ১ পর্যটক, মৃত্যু ১ জনের

ছুটি কাটাতে সমুদ্রতটে এসেছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু, সামান্য অসতর্কতা ফলে ঘটল ভয়ঙ্কর বিপদ। পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি সমুদ্রসৈকতে স্নান করতে নেমে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন তিন পর্যটক। তলিয়ে গেলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও একজন এখনও নিখোঁজ। উদ্ধার হওয়া দুই পর্যটকের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল ভারতীয়কে, পরে ভুল বুঝে ব্যক্তিকে দেশে ফেরাল BSF)আরও পড়ুন: ২ বন্ধু ভেসে যায় জোয়ারে, তাদের বাঁচাতে গঙ্গায় ঝাঁপ মারে কিশোর, তলিয়ে গেল তিনজনই!জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে নামেন ওই তিন পর্যটক। ঢেউ উপেক্ষা করেই গভীর জলের দিকে এগিয়ে যান তাঁরা। আচমকা একটি বড় ঢেউয়ে তিনজনই ডুবে যেতে থাকেন। ঘটনাটি নজরে পড়তেই সৈকতে উপস্থিত অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়রা চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ এবং নুলিয়ারা। সঙ্গে সঙ্গে একটি স্পিডবোট নামিয়ে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বহু চেষ্টার পরে দু’জনকে সমুদ্র থেকে তুলে আনা সম্ভব হয়। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে কি ফের আদালতে রাজ্য? মামলা নিয়ে সামনে এল বড় দাবি)আরও পড়ুন: BSF-এর জালে ২ হিন্দু সহ ৫ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানো হল নিজেদের দেশেতাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় বড়রাঙ্কুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অন্য একজনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তৃতীয় পর্যটকের খোঁজ এখনও মেলেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁকে খুঁজতে আরও একটি স্পিডবোট নামিয়ে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মন্দারমণি থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই তিন পর্যটক উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে এসেছিলেন। সোমবার তাঁরা মন্দারমণির একটি হোটেলে উঠেছিলেন। পুলিশের অনুমান, পর্যটকরা মদ্যপান করেছিলেন। তাছাড়া সমুদ্র উত্তাল থাকা সত্ত্বেও তাঁরা গভীরে চলে যান, যা বিপদের অন্যতম কারণ।স্থানীয়দের মতে, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক পর্যটকই সমুদ্রে স্নান করার সময় নিয়ম মানেন না। ফলে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রশাসনও ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।