সমতলের গরম থেকে বাঁচতে এখন অনেকেই পাহাড়মুখী। সেখানে তাপমাত্রা অনেকটাই মনোরম। দিনের বেলা হালকা গরম লাগছে। তবে ভোরবেলা, রাতে বেশ ঠান্ডার অনুভূতি। তবে দার্জিলিংয়ে তিল ধারনের জায়গা নেই। অনেকেই খুঁজছেন ছিমছাম, নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। যেখানে সেই শহুরে ব্যস্ততা নেই। তেমনই পাহাড়ি গ্রাম ছোট মাঙ্গোয়া। মাঙ্গোয়া পাহাড়ের উপর ছবির মতো সুন্দর গ্রাম ছোট মাঙ্গোয়া।(Chota Mangwa)। দার্জিলিংয়ের অন্যতম আনকোড়া অফবিট ডেস্টিনেশন।
ছোটা মাঙ্গোয়া। দার্জিলিং পাহাড়ের একেবারে আনকোড়া জায়গা।মাঙ্গোয়া পাহাড়ের চূ়ড়ায় ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম ছোট মাঙ্গোয়া।এককথায় কী কী দেখতে পাবেন এখানে? এখানে এলে আপনি চা বাগান, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কমলালেবু বাগান, পাহাড়ি নদী, ফুলে ঢাকা রাস্তা, সবটাই পাবেন। আর পাবেন একরাশ নির্জনতা,অপার ভালো লাগা।
অনেকে কমলালেবুর বাগান দেখার জন্য সিটং যান। কিন্তু ছোট মাঙ্গোয়া কারোর থেকে কম যায় না। এখানেও রয়েছে কমলালেবুর বাগান। তিস্তা নদীতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে নামার ইচ্ছা থাকলে এখানে আসতেই হবে আপনাকে।
তবে আপনি যদি রসে টুইটম্বুর কমলালেবুর বাগান দেখার জন্য এখানে আসতে চান তবে অক্টোবর আর ফেব্রুয়ারিতে আসাটাই ভালো হবে। তবে গরমের ছুটিতে এলেও মন্দ লাগবে না। অত্যন্ত সুন্দর এই গ্রাম।
ছোট মাঙ্গোয়া এলে আপনি খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন পাহাড়ি জীবনকে। তাঁদের সহজ সরল মানসিকতাকে। বহু পর্যটক যখন কমলালেবু দেখার জন্য সিটং যান তখন আপনি চলে আসতে পারেন ছোট মাঙ্গোয়া, বড় মাঙ্গোয়াতে। এখানে ক্যাম্পিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও সময় কাটাতে পারেন। টেন্টে থাকতে মন্দ লাগবে না। মোটামুটি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পড়ে।
এখান থেকে আপনি তাকদা, রামপুরিয়া, দাওয়াইপানি, পেশক, চটকপুরে ঘুরে আসতে পারেন।
দিনের বেলা পাহাড় সবুজে সবুজ। আর রাতের পাহাড়ে অপূর্ব আলোর মালা। কেমন যেন ঘোর লেগে যায় তাকিয়ে থাকতে থাকতে। নিজেকে মনে হয় কোন এক আদিম প্রকৃতির মধ্যে রয়েছেন আপনি। নির্জন রাত, নিঝুম হোম স্টে, দূর পাহাড়ের আলো কেমন অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করে। আর সকাল হতেই একেবারে অন্যরকম পাহাড়।
কীভাবে যাবেন?
এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন ছোট মাঙ্গোয়া। দূরত্ব ৭৫ কিমি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক