
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ফের প্রকাশ্যে চলে এল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার কঙ্কালসার দিক। এবার ঘটনাস্থল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানে এক ব্যক্তির কাটা হাত খেতে দেখা গেল কুকুরকে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালের সাফাই রোগীর আত্মীয়দের ভুলেই হয়েছে এই কাণ্ড।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। শিলিগুড়ি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার নামে এক যুবক শহরের ঘোড়া মোড়ের কাছে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। দুর্ঘটনায় তাঁর ডান হাতটি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাত জোড়া লাগাতে তড়িঘড়ি ওই যুবককে নিয়ে হাসপাতালে আসেন সঞ্জয়ের আত্মীয়রা। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন হাত। সকালে দেখা যায় হাসপাতালের একটি ভবনের ছাদে সঞ্জয়ের সেই কাটা ডান হাত চিবাচ্ছে একটি কুকুর।
এই দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। তারা বলেন, হাত জোড়া লাগাতে সেটিকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। তা তো হলোই না। উলটে কুকুরে কামড়ে খেল হাতটা। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী।
তাঁরা জানান, রবিবার রাতে ওয়ার্ড থেকে তাঁদের সবাইকে বার করে দেওয়া হয়। তখন রোগীর পাশেই হাতটা রেখে এসেছিলাম। কী করে কুকুর ঢুকল ওয়ার্ডে? একটা মানুষের হাত কুকুর মুখে করে নিয়ে গেল আর কেউ দেখতে পেলেন না? ওয়ার্ডের কর্মীরা কী করছিলেন?
অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনার জন্য পালটা রোগীর আত্মীয়দেরই দায়ী করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, রোগীর হাত তার বেডের পাশে রেখে যেতে বলা হয়নি। কাটা হাত রোগীর আত্মীয়দের কাছেই থাকার কথা। প্রশ্ন উঠছে, বিচ্ছিন্ন দেহাংশ নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ফের দেহের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। দেহাংশ সংরক্ষণের সেই পদ্ধতি কি রোগীর আত্মীয়দের পক্ষে জানা সম্ভব? কেন গোটা রাত সঞ্জয়ের কাটা হাত জোড়া লাগানোর কোনও চেষ্টা হল না?
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports