শান্তিনিকেতনের অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্রে হল সোনাঝুড়ি এলাকা। এখানে বসে সোনাঝুড়ি হাট। এই হাটকে কেন্দ্র করে ভিড় জমে পর্যটকদের। পর্যটনকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠছে হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ। তবে এর জন্য নির্বিচারে জঙ্গলের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আর সেইসঙ্গে জঞ্জালে ভরে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে জঙ্গলের পরিবেশ। তার ফলে যেমন জঙ্গলের পরিসর যেমন ছোট হয়ে যাচ্ছে, তেমনই আবর্জনার স্তূপে ভরে উঠছে এই জঙ্গল। সোনাঝুড়ি জঙ্গলকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল পরিবেশ আদালত।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের সাতদিন আর খোলা থাকবে না শান্তিনিকেতনে সোনাঝুড়ির হাট, নতুন দিন জানুন
এই মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত মোট তিন পক্ষের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বন দফতর এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের অভিযোগ, সোনাঝুরি জঙ্গলের বহু জায়গায় অবৈধভাবে একের পর এক গড়ে উঠছে হোটেল, রিসর্ট, গেস্ট হাউস। অথচ স্থানীয় পঞ্চায়েত তাতে অনুমতি দিচ্ছে। এর ফলে বনাঞ্চলের পরিসর ক্রমেই ছোট হতে বসেছে। শুধু তাই নয়, আগে এখানে প্রতি শনিবার হাট বসত। কিন্তু, এখন সপ্তাহে প্রতিদিন হাট বসছে। তিন থেকে চার হাজার ব্যবসায়ী সেখানে দোকান বসান। আর এই হাটকে ঘিরে প্রতিদিন হাজার-হাজার পর্যটক সেখানে যাচ্ছেন। তার ফলে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা বনাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। অথচ সেই বর্জ্য পরিষ্কারের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে জঙ্গলে থাকা গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।