বাংলার ১২ লক্ষ প্রান্তিক মানুষের অ্যাকাউন্টে এবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আজ, মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘর থেকে প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই আনুষ্ঠানিক সূচনার ২৪ ঘণ্টা আগেই একাধিক জেলায় আবাস প্রকল্পের প্রথম কিস্তির বরাদ্দ পাঠিয়ে দিল রাজ্য সরকার। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দ বিতরণের প্রাক্কালে সোমবার প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে বরাদ্দ দিয়ে দিল নবান্ন বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের নিজস্ব কোষাগার থেকে টাকা দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত করল নবান্ন। এদিন বেশ কয়েকজন উপভোক্তার হাতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা তুলে পৌঁছে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে নবান্ন অনেক বেশি সতর্ক হয়ে কাজ করছে। যাতে একজনের টাকা কোনওভাবেই অন্যজনের অ্যাকাউন্টে না যায়। এমনকী এক ব্যক্তি দু’বার করে যেন বাংলার বাড়ির টাকা না পান। তাই এবার বিডিওদেরই টাকা ছাড়তে উপভোক্তাদের নামের বিল ট্রেজারিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। একেবারে বিডিও’র নজরদারিতেই করতে হবে টাকা ছাড়ার কাজ বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: এবার স্টেট ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায়, জারি করা হল সতর্ক বার্তা
ইতিমধ্যেই জেলাভিত্তিক উপভোক্তাদের হিসেব তৈরি করে জেলা ধরে ধরে কয়েকশো কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। প্রথম কিস্তিতে এক একজনকে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন। অতিরিক্ত আরও এক লক্ষকে একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে। সব মিলিয়ে এই দফায় গোটা বাংলার জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৭২০০ কোটি টাকা। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে এক–একজন উপভোক্তা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। তবে জঙ্গলমহলের কিছু অঞ্চল–সহ দুর্গম এলাকার উপভোক্তারা ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন।
এছাড়া উপভোক্তাদের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি না করেই এই টাকা ছাড়তে শুরু করেছে নবান্ন। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া উপভোক্তাদের একটি ‘মাস্টার রোল’ তৈরি করা হয়েছে। আর তার ভিত্তিতে ট্রেজারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তিতেও প্রত্যেক উপভোক্তা ৬০ হাজার করে টাকা পাবেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। তখনও প্রায় ৭২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এখন যা পাঠানো হল সেটা একটা পর্যায়। তবে আগামী কয়েকদিন পর্যায়ক্রমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।