হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড় বিপর্যয়ের জেরে নতুন করে সেখানে আবর্জনা ফেলা হবে না বলে ঘোষণা করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিকল্প হিসাবে হাওড়ার আরুপাড়ায় সরকারি জমিতে ভাগাড় তৈরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ল হাওড়া পুরসভা। বুধবার সকালে পুরসভার আধিকারিক ও যন্ত্রপাতি ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, ওই জায়গায় কোনও ভাবেই ভাগাড় তৈরি করতে দেবেন না তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু তাতেও পিছু হঠতে রাজি নন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরমন্ত্রী বলেছিলেন ধাপা বা বৈদ্যবাটীতে ফেলা হবে হাওড়া পুর এলাকার জঞ্জাল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ হাওড়ার আরুপাড়ায় সরকারি জমিতে ভাগাড় তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এক দিকে বড় বড় পে লোডার দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে একের পর এক গাছ। অন্য দিকে ডাম্পারে করে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে। বুধবার সকাল থেকে ভাগাড় তৈরির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই ভাগাড় তৈরি করতে দেবেন না তাঁরা। স্থানীয়দের বিক্ষোভে আটকে পড়ে বেলগাছিয়া ভাগাড় থেকে ময়লা নিয়ে আসা সারি সারি ডাম্পার।এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই এলাকায় বহু মানুষের বাস। এখানে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে পঠনপাঠন হয়। বাচ্চারা খেলা করে। এই জমির মধ্যে একাধিক জলাশয় রয়েছে। পুরসভা রাতারাতি এখানে ভাগাড় তৈরির সিদ্ধান্ত কী করে নিল বুঝতে পারছি না। আমরা এখানে কোনও ভাবেই ভাগাড় তৈরি করতে দেব না। এতে এখানকার পরিবেশ আর বাসযোগ্য থাকবে না। আসেপাশে জমির দাম কমে যাবে। ক্রমশ যে বেলগাছিয়ার মতো আরেকটা বিপর্যয় হবে না তার নিশ্চয়তা কী?খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয়দের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু কোনও ভাবেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ তাঁরা। ওদিকে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাওড়া শহর থেকে বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমছে ময়লার স্তূপ।