নদিয়ার কল্যাণীতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণ! এবারের ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এখানে অন্তত বাজি-টাজি কিছু ফাটেনি! বরং তাঁদের আশঙ্কা, এই ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে মজুত করে রাখা বোমা!বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎই এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠেন কেতুগ্রামের চেঁচুড়গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হতচকিত হয়ে গেলেও খানিক পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, পিলে কাঁপানো এই শব্দ আদতে বিস্ফোরণের!কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, এই এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ির চত্বরেই আলাদাভাবে একটি শৌচালয় রয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই শৌচালয়ের ভিতর। যার জেরে শৌচালয়টি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পর্যবসিত হয়। সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়ে সেটি। এমনকী, বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে লাগোয়া বাড়ির ছাদের একটা অংশও এই ঘটনার জেরে উড়ে যায় বলে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে ওই বাড়িটি খালি হয়ে পড়ে রয়েছে। কারণ, বাড়ির কর্তা চাকরি সূত্রে বাইরে কোথাও থাকেন। অন্য কেউও সেখানে থাকেন না। ফলত, বাসিন্দা ও প্রতিবেশীদের আশঙ্কা, খুব সম্ভবত - সকলের অলক্ষ্য়ে ওই বাড়ির শৌচালয়ে কেউ বা কারা বোমা মজুত করে রেখে গিয়েছিল। সেই বোমা ফেটেই ঘটেছে অঘটন।এলাকাবাসীর বক্তব্য, ভাগ্যিস সেই সময় কেউ সেখানে ছিলেন না। থাকলে হতাহতের ঘটনা ঘটতই! স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা থমথমে হয়েছে রয়েছে। যেন আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা!এদিকে, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, যে বাড়ির শৌচালয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটি নাকি এলাকায় 'পোড়ো বাড়ি' হিসাবে পরিচিত। বাড়িটি অন্তত ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসডিপিও।তাঁকে উদ্ধৃত করে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু এই বাড়ির মালিকরা বর্তমানে সেখানে থাকেন না, বা তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, তাই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হবে এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ সামনে আনা হবে।