বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Mamata speech Highlights: ‘বাংলার সর্বত্র শিল্পের হাওয়া বইছে, চাকরি-বাকরির অভাব হবে না’, দাবি করলেন মমতা
পরবর্তী খবর
Mamata speech Highlights: ‘বাংলার সর্বত্র শিল্পের হাওয়া বইছে, চাকরি-বাকরির অভাব হবে না’, দাবি করলেন মমতা
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Mar 2024, 01:15 PM ISTAyan Das
আজ পশ্চিম মেদিনীপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে মমতা দাবি করলেন, ‘বাংলার সর্বত্র শিল্পের হাওয়া বইছে। চাকরি-বাকরির অভাব হবে না। তাই ওরা ভয় পাচ্ছে।’
বাংলায় চাকরির অভাব হবে না। কারণ বাংলায় শিল্পের হাওয়া চলছে। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট ময়দান থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের মধ্যেই মমতা জানান, রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। নিয়োগ করা হচ্ছে অসংখ্য পদে। এবার বাজেটে যে গ্রিন পুলিশের ভাতা বৃদ্ধি, ভলান্টিয়ারদের ভাতা বৃদ্ধি, চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে, সেটাও জানিয়ে দেন মমতা। আর কী কী বললেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মঞ্চ থেকে, তা দেখে নিন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কী কী হল?
— মমতা: আমরা ব্রিগেডে একটা সভা ডেকেছি। বাংলার গর্জন। ট্রেনের বুকিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেনও দেওয়া হয়নি। মগের মুলুক নাকি?
— মমতা: আমার কাছে দুঃখের খবর। কাল প্রদীপরা আমায় বলছিল যে খড়্গপুরে অনেক রেল কলোনি আছে। একসময় ওটা রেলেই ৯০ শতাংশ ছিল। নির্বাচনের আগে ওখানকার আটটি ওয়ার্ডে জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। ধমকানি দেওয়া হয়। বলা হয় যে বিজেপিকে ভোট না দিলে এলাকা থেকে সরিয়ে দেব। আমি এবার চ্যালেঞ্জ করে গেলাম, একটা বাড়ির জলের সংযোগ কাটলে, একটা বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ, একটা বাড়ির লোককে উচ্ছেদ করলে.....। মনে রাখবেন, আমরা কেউ ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না। আমরা ঘাসকে রক্ষা করি।
— নরেন্দ্র মোদীর ‘গ্যারান্টি’-র পালটা ‘গ্যারান্টি’ দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বাংলার সরকার গ্যারান্টি দিলে সেটা রক্ষা করা হয়। আর দিল্লির সরকার গ্যারান্টি দিলে ওটা বর্জন হয়। ওটা কাজে লাগে না। নির্বাচনের আগে গ্যাস বেলুন। নির্বাচনের পরেই গ্যাস বেলুন ফুটো হয়ে যায়।'
— মমতা: মানুষ বিপদে পড়লে খোঁজ নেয় না ওরা। বন্যা হলে খোঁজ নেয় না ওরা। রেলের দুর্ঘটনা হলে খোঁজ নেয় না ওরা।
— মমতা: চাকরি-বাকরির অভাব হবে না। কারণ সারা মেদিনীপুরে চলছে শিল্পের আভা। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম থেকে শুরু করে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ - মনে রাখবেন, সব জায়গায় হাওয়া চলছে। শিল্পের হাওয়া। শিল্প এখন কোথায় হচ্ছে? বাংলায় হচ্ছে। তাই বাংলাকে ওরা ভয় পাচ্ছে।
— মমতা: বাংলাকে কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না? কেন টাকা দেওয়া হচ্ছে না?
— মমতা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যখন করেছিলাম। তখন কেউ ভাবতে পারেননি। আজ দেখলাম যে দিল্লিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো শুরু করেছে। ওদের ছোট রাজ্য। কম টাকা লাগে। আমাদের বড় রাজ্য। অনেক টাকা লাগবে।
— পূর্ব মেদিনীপুরের পরে আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি অনুষ্ঠানে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট ময়দান থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, সেদিকেও নজর আছে রাজনৈতিক মহলের।