পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছুটি পেতেই পবিত্র দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেন তিনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পোলবায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারের চালকের আসনে ছিলেন তিনিই। ওই দুর্ঘটনায় ঋষভ সিং নামে ৬ বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বেলাগাম গতির জেরেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় গাড়িটি। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন চালক পবিত্র দাসও।পোলবা দুর্ঘটনায় পবিত্রর গ্রেফতারি কার্যত ছিল সময়ের অপেক্ষা। ৫ দিন আগেই এই দুর্ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শামিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন পবিত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করলে তাঁকে ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সওয়া সাতটা নাগাদ হুগলির পোলবায় দিল্লি রোডের ওপর একটি সেতু থেকে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় একটি পড়ুয়াবোঝাই পুলকার। ঘটনায় ৩টি শিশু গুরুতর আহত হয়। তার মধ্যে শ্রীরামপুর পুরসভার তৃণমূলি কাউন্সিলর সন্তোষ সিংয়ের ছেলে ঋষভ সিংও ছিল। তাদের গ্রিন করিডর তৈরি করে চুঁচুড়া থেকে আনা হয় কলকাতার SSKM হাসপাতালে। সেখানে ৮দিন পর মৃত্যু হয় ছোট্ট ঋষভের। আহত অন্য ছাত্র দিব্যাংশু সুস্থ হয়ে উঠছে।ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি অন্তত ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। পুলকারের গতি নিয়ন্ত্রণে গাড়িতে লাগানো থাকে বিশেষ যন্ত্র। যার জেরে চাইলেও নির্দিষ্ট গতির থেকে দ্রুত চালানো যায় না গাড়ি। কিন্তু সেই যন্ত্রের তার ইঞ্জিন থেকে খোলা ছিল।অভিযোগ, শ্রীরামপুর থেকে পড়ুয়াদের একটি বড় গাড়িতে তুলত শেখ শামিম নামে অভিযুক্ত যুবক। শ্যাওড়াফুলি থেকে পড়ুয়াদের তুলত পবিত্র। তার পর ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা অনুসারে বদ্যিবাটি পেট্রল পাম্পে এনে গাড়ি বদল করা হত। পড়ুয়া বেশি হলে ছোট গাড়ি থেকে নামিয়ে তোলা হত শামিমের বড় গাড়িতে। আবার পড়ুয়া কম হলে শামিমের গাড়ির পড়ুয়াদের পবিত্রর ছোট গাড়িতে তুলে দেওয়া হত।দুর্ঘটনার দিন পবিত্রর গাড়ি থেকে ছাত্রছাত্রীদের তোলা হয়েছিল শামিমের বড় গাড়িতে। কিন্তু শামিমের বদলে গাড়িটি চালাচ্ছিল পবিত্রই।