দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে বন্ধ জাতীয় সড়ক নম্বর ১০। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। তবে বিগত কয়েকদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়েছিল এই রাস্তায়। ধস সরিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছিল। আগামী দু'দিনে এই রাস্তায় ফের গাড়ি চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক করা হবে বলে আশাও ব্যক্ত করা হয়। তবে এরই মাঝে ফের ভয়াবহ ধস নামল ১০ নং জাতীয় সড়কে। এর জেরে ফের একবার সিকিমগামী এই জাতীয় সড়কটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিকে ধস একটি নয়, বরং দু'টি। ধসের ঘটনা দু'টির একটি ঘটেছে মাল্লি বাজারের কাছে। এবং জানা গিয়েছে, অপর একটি ধসের ঘটনা ঘটেছে বিড়িকদাড়ায়। (আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়, জানুন কলকাতার আবহাওয়ার পূর্বাভাস)
এদিকে ১০ নং নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় সেবক থেকে লাভা, গরুবাথান, আলগাড়া দিয়ে যান চলাচল করছে। অন্যদিকে, কার্শিয়াং দিয়ে পেশক দিয়ে কালিম্পংয়ে যাচ্ছে গাড়িগুলি। তবে জানা গিয়েছে, তিস্তার জলস্তর আগের থেকে অনেকটা নামায় সেলফিদাড়া, বিড়িকদাড়া, ২৯ মাইল, মাল্লি, তিস্তাবাজারের-সহ অন্যান্য এলাকা থেকে আগে ধস সরানোর কাজ প্রায় শেষের পথে। জিটিএ ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ধস সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সম্প্রতি আলগাড়া, লাভার রাস্তাতেও ধস নেমেছিল। তবে সেই রাস্তা থেকে ধস সরিয়ে দ্রুত সেটিকে ফের চালু করা হয়। উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টি, তিস্তা নদীতে জল বৃদ্ধি ও বার বার ধসের জেরে এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বার বার ক্ষতির মুখে পড়ছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গে সোমবার এবং মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে পাহাড়ি জেলা কালিম্পঙে দু'দিনই ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই দুই জেলায় আজ বিকেলের থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা আছে। এরপর আগামিকাল ভারী বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং এবং আলিপরুদুয়ারে। এই আবহে এই দুই জেলায় মঙ্গলবার জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এরপর আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত উত্তবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে। তবে আপাতত উত্তরে আর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই সেই অর্থে। এর আগে গতকাল কালিম্পং জেলায় ৫৪.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।