তখন দুপুরবেলা। ফাঁকা বাড়ি। গৃহবধূ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে রয়েছেন। কিন্তু সেটা যে তাঁর ছেলে দেখে ফেলবে সেটা ভাবেননি ওই বধূ। পাশের ঘরে ঘুমচ্ছিল ১০ বছরের নাবালক ছেলে। কিন্তু ছেলের ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায়। তাই উঠে মায়ের ঘরে ঢুকতে যায়। তখনই থমকে যায় তার পা এবং চোখ। নিজের মাকে এমন অবস্থায় দেখে ফেলে সে। এটাই সহ্য করতে পারেনি ওই শিশু মন। আর সেটাই প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে এই আশঙ্কায় খুন হতে হল নাবালককে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগণার খড়দায়।
ছেলে যে দেখে নিয়েছে এটা বুঝে যায় তার মা। তখনই ওই বধূ গোটা ঘটনা প্রেমিককে জানিয়ে দেয়। প্রেমিক ফেঁসে যাওয়ার ভয় পেতে শুরু করে। তখন পরিকল্পনা করে ওই নাবালককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয় তার মায়ের প্রেমিক। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই নাবালককে খুন করার অভিযোগে মৃতের মায়ের পুরুষ সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই পুরুষসঙ্গীর নাম বিনোদ রাই। ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দফায় দফায় জেরা করার পর নাবালককে খুনের কথা স্বীকার করে সে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করতেই আটক হামলাকারী, চলছে জেরা, পুলিশে ছয়লাপ আসানসোল
গৃহবধূর কাছ থেকে এই ঘটনার কথা শোনার পর প্রেমিক বিনোদ রাই ওই নাবালককে সমঝে দিতে চায়। ওই নাবালককে বোঝাতে যায়, সে ভুল দেখেছে। আর যা দেখেছে তা যেন কাউকে না বলে। কিন্তু ওই নাবালক জানিয়ে দেয়, সে ঠিকই দেখেছে এবং তা তার বাবাকে বলেও দেবে। তারপরই ১৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১০ বছরের ওই নাবালক। বাড়ির সামনে থেকেই তাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরাও পড়ে যায়। এবার খড়দার ডাঙাপাড়া এলাকার ভাগাড় থেকে ওই নাবালকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নাবালকের মায়ের পুরুষসঙ্গী বিনোদ রাইকে প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিল পুলিশ। তারপর সমস্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।