পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অর্জিতে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে শিক্ষকরা প্রশ্নাতীতভাবে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হননি, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মিশ্র ছবি দেখা যাচ্ছে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই স্কুলে যাচ্ছেন, আবার শিক্ষা দফতর থেকে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুলে যেতে চাইছেন না বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। আবার কেউ কেউ স্কুলে গেলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐক্য মঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তারা স্কুলে যাবে না। এই অবস্থায় যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসএসসি সামনে ধরনায় বসবেন এই সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: 'আবার পরীক্ষা! বিরাট টেনশনে পড়লাম,' সুপ্রিম নির্দেশেও স্বস্তি নেই ‘দিদিমণির’
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত স্কুলে চাকরিহারা শিক্ষকরা যোগ দেননি, তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার একটি স্কুল। ওই স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তাঁরা কেউই স্কুলে যোগ দেননি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন যে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে যাবেন না। হাওড়া সাঁকরাইলের সারেঙ্গা হাইস্কুলের চাকরিহারা শিক্ষকরাও একই দাবি জানিয়ে স্কুলে যোগ দেননি। একই অবস্থা কোচবিহারের শীতলকুচির একটি হাইস্কুলের।
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের ন’হাটা সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যামন্দিরের চাকরিহারা আট শিক্ষিকা স্কুলে যোগ দেননি। এছাড়াও হুগলি, বীরভূমের বিভিন্ন স্কুলে একই ছবি দেখা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু স্কুলেও যোগ দেননি চাকরিহারা শিক্ষকরা। পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলেও একই ছবি দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাকরি বাতিলের পরেই স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় স্কুলগুলিকে পার্শ্ব-শিক্ষক এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে। আবার বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরও নিয়ে এসে ক্লাস করানো হচ্ছে বহু স্কুলে। জলপাইগুড়ির মারোয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের এনে ক্লাস করানো হচ্ছে। আবার বেশ কিছু স্কুলে চাকরিহারা শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাগরের একটি স্কুল। ওই স্কুলে ৯ জন চাকরিহারা শিক্ষক কাজে যোগ দিয়েছেন।