
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
গত ৬ই এপ্রিল নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তপন কান্দু খুনের অন্য়তম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের দেহ। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে তবে কি নিরঞ্জনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল? এদিকে এসবের মধ্যে তাঁর ফোনের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে নানা মহলে দাবি করা হয়। এনিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। আর বৃহস্পতিবার সেই মোবাইলেরই হদিশ পেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিন তাঁরা নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বন্ধ ঘর থেকেই মোবাইলের হদিশ পান। ঘরের টেবিলেই রাখা ছিল মোবাইলটি। তার পাশে একটি পেনও ছিল। এদিকে দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ঘরটি তালাবন্ধ ছিল। এখানেই প্রশ্ন উঠছে এতদিন মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছিল না বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল। আর ডিএসপি সিবিআইয়ের নেতৃত্বে টিম একবার ঘর খুলেই সেই ফোন পেয়ে গেলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অত্যন্ত সাধারণ একটি ফোন। এবার সেই ফোনের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। রোজ রাতেই নাকি ফোন বন্ধ করে ঘুমোতে যেতেন নিরঞ্জন। দেহের পাশে সুইসাইড নোট পেয়েছিল পুলিশ। পুলিশের বার বার ডাকের কথা উল্লেখ করা ছিল সুইসাইড নোটে। সেক্ষেত্রে পুলিশ কতবার ফোন করেছিল সেটাও বের করা যেতে পারে ফোন থেকে।
সেই নোটে লেখা ছিল, ‘যেদিন তপনের হত্যা হয় সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি সেটা মাথা থেকে কোনওরকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু ওই ঘটনাটা মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বার বার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এইসব আর সহ্য করতে না পারার জন্য এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারো কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম। ইতি নিরঞ্জন বৈষ্ণব (সেফাল)।’
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus