চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। জলপাইগুড়ি আদালত অভিযুক্ত যুবকের সাজা ঘোষণা করেছে। এই রায়ে খুশি শিশুর পরিবার। (আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককের বৈঠকে হাসিনাকে নিয়ে ইউনুসকে কী বলেন মোদী? বড় দাবি বাংলাদেশ সরকারের)
আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত
আদালত সূত্রের খবর, ২ বছর আগে ঘটনাটি ঘটেছিল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকায়। চার বছরের ওই শিশুর বাড়ির পাশে থাকে অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই সূত্রে শিশুর বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল ব্যক্তির। তাকে দেখে কোনওদিনও সন্দেহ হয়নি শিশুর পরিবারের সদস্যদের। জানা যায়, দুবছর আগে ঘটনার দিন ওই শিশুর বাড়িতে গিয়েছিল ব্যক্তি। এরপর শিশুকে চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে বাইরে নিয়ে যায়। সেই অজুহাতে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে শিশুকে বাড়ি নিয়ে যায়। (আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দেওয়া দ্বীপ ফেরত চাইছেন ভরতীয়রা,জানুন কচ্ছতিভুর বিতর্কিত ইতিহাস)
আরও পড়ুন: বিতর্কের ধুলো উড়তেই তৈরি ঝাঁটা, ওয়াকফ সংশোধনীর জন্যে গড়া হচ্ছে 'স্পিডব্রেকার'
তবে বাড়ি ফিরতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু। ঘটনায় বাবা-মায়ের সন্দেহ হয়। পরে মেয়ের কাছ থেকে কুকীর্তির কথা জানতে পারেন তাঁরা। ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। পরে চার্জ গঠন করে জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। সূত্রের খবর, এই মামলায় সাতজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়াও, উপযুক্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে প্রথমে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পরে আজ শনিবার বিচারক দোষীর সাজা ঘোষণা করেন। আদালতের আইনজীবী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। আর জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে অনাদায়ে বছরে আরও দুই মাস জেল খাটতে হবে দোষীকে। ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতের রায়ে খুশি নির্যাতিতা শিশুর পরিবার। এখন অভিযুক্ত উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় কি না সেটাই দেখার।