হাওড়ায় প্রকাশ্যে খুন করে ফেলা হল এক প্রোমোটারকে। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শিবপুর থানার অন্তর্গত জিটি রোডের বস্তিতে। দ্রুত খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম সামনে উঠে এসেছে। তাদের খোঁজে চলছে চিরুণী তল্লাশি। তবে এই প্রোমোটার আবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে সূত্রের খবর। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন হাওড়ার যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। বুধবার রাতে শিবপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে চলে গুলি। তাঁকে লক্ষ্য করেই এই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। আহত এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে জখম আবদুল কাদির একদিকে যেমন প্রোমোটারের কাজ করতেন অপরদিকে হাওড়া পুরসভার অন্তর্গত ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাও ছিলেন। ওই রাতে যখন ঘড়িতে সাড়ে ১০টা বাজে তখন শিবপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছিলেন কাদির। স্থানীয় সূত্রে খবর, তখনই মোটরবাইকে করে তিনজন দুষ্কৃতী আসে। যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। ৬ রাউন্ড গুলি চালাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাদির। স্থানীয়রা ছুটে আসতেই মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কলকাতার পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু দার্জিলিংয়ে, শুরু হয়েছে পুলিশের জোরদার তদন্ত
অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা কাদিরকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে প্রথমে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু বেশি রাতে মারা যায় আবদুল কাদির। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একাধিক দুষ্কৃতীর নাম সেখানে উঠে আসে। মোটরবাইকে তিনজন থাকলেও অভিযোগ করা হয়েছে পাঁচজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এই পাঁচজন হাওড়া এলাকার ত্রাস বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।