
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
এই মরসুমে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। তারপর ট্রলারের সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া মৎস্যজীবীদের আর কোনও উপায় ছিল না। বর্ষার ভরা মরশুমে ট্রলার পিছু মাত্র কয়েক কিলো ইলিশ মিলেছে। আর সামুদ্রিক মাছের আমদানিও খুবই কম। বারবার গভীর সমুদ্রে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ জ্বালানি তেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীণ হচ্ছেন দিঘা–সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীরা।
কেন উধাও হয়ে গেল মোহনা আর সমুদ্রের ইলিশের ঝাঁক? ঘটনার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক সম্ভাব্য কারণ। পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের যুক্তি, সমুদ্রে নির্বিচারে মাছ ধরা চলছে। এই ‘অতিরিক্ত মৎস্য–শিকার’ ধ্বংস করছে সমুদ্রে মাছের মজুত। খোকা ইলিশ–সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের চারা ধরাকেও দায়ী করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্র দূষণ তো আছেই।
নিয়ম অনুযায়ী, গ্রীষ্ম–বর্ষায় ৬১ দিন (১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন) সমুদ্র মাছ ধরা নিষেধ। কারণ তখন ইলিশ–সহ নানা মাছের প্রজননের সময়। জালের ফাঁসের মাপ বড় করা এবং সরকারি নির্দেশিকা যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য উপযুক্ত নজরদারি প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন। হলদিয়া বন্দরে জাহাজ চলাচলের জেরেও ব্যাপক হারে জল দূষণ হচ্ছে।
এদিকে ‘দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’–এর অধিকর্তা নবকুমার পয়রা বলেন, ‘এই মুহূর্তে দিঘার সমূদ্রে ছোট–বড় মিলিয়ে প্রায় ৩,৬০০ লাইসেন্সভুক্ত ট্রলার রয়েছে। এবার সমূদ্রে মাছ প্রায় নেই বললেই চলে। গত ১০ বছর এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ। সমুদ্র ও নদীর খাঁড়ি থেকে ইলিশ প্রায় উধাও।’
এই পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও জানান, একটি ট্রলার সমূদ্রে গেলে ৭ থেকে ১০ দিন পর ফেরে। এই এক দফায় ছোট ট্রলারের তেল খরচ প্রায় ২,০০০ লিটার (২ লক্ষ টাকা) আর বড় ট্রলারে খরচ হয় ৩,০০০ লিটার (৩ লক্ষ টাকা)। সঙ্গে বিপুল টাকার জাল, ট্রলারের কর্মীদের খরচ। কিন্তু মাছ আসছে সামান্য পরিমাণে, যা থেকে খরচ উঠে আসছে না।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports