এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলল। সোমবার স্কুলে গিয়েছিল সে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। বারাকপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এই ছাত্রের নাম ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই পরীক্ষার মাঝপথেই এই ছাত্রের উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে পরিবার। এমনকী নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পরেও সন্ধান পায়নি পুলিশ।কেন উধাও হল এই ছাত্র? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পড়ুয়া অপহরণ হয়েছে নাকি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছে তা নিয়ে একটা সংশয় রয়েছে। কারণ সে ধর্মপ্রাণ। একাধিকবার এই ছাত্রের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে, সন্ন্যাস নেওয়ার ইচ্ছা। পরিবারকেও নিজের মনের ইচ্ছা জানিয়েছে কখনও। তাই তার অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বারাকপুর থানার পুলিশ। কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই সোমবার বিশেষ ক্লাস করতে স্কুলে গিয়েছিল ধ্রুবজ্যোতি। তারপর আর ফেরেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষও কোনও তথ্য দিতে পারেনি। তাই বারাকপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা কুন্তল বিশ্বাস। অভিযোগ দায়ের হতেই তার খোঁজ শুরু হয়েছে। ধ্রুবজ্যোতির বাড়ি বারাকপুরের ষষ্ঠীতলা এলাকায়। ছোট থেকেই ধর্মের প্রতি ঝোঁক ছিল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগ্রহ বেড়েছে পুজোয়। বারাকপুর স্টেশনের কাছে হনুমান মন্দিরে রোজই যেত সে। সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলত বাড়ির লোকজনকে। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন আগে ধ্রুবজ্যোতি হঠাৎই ন্যাড়া হয়ে বাড়ি আসে।পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য সময় বাড়ি থেকে বেরলে ছেলে মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়েই যেত। কিন্তু ওইদিন সে সেটি বাড়িতে রেখেই গিয়েছিল। মোবাইলে বন্ধুদের কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ যাওয়ার আগে নিজেই ডিলিট করে দেয় সে। ঠিক কী বলছেন ছাত্রের বাবা? নিখোঁজ ছাত্রের বাবা কুন্তল বিশ্বাস বলেন, ‘আমি নিজে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম। স্কুল শেষে ওর একাই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সে না ফেরায় স্ত্রী ফোনে বিষয়টি আমাকে জানান। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলে, অনেক আগেই সে চলে গিয়েছে।’ স্কুলের বন্ধুরা জানিয়েছে, সোমবার ধ্রুবজ্যোতি এক বন্ধুকে বলেছিল— সে আর স্কুলে আসবে না।