হলদিয়া বন্দরে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না বিধায়ক এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সোমবার জাহাজ প্রতিমন্ত্রী হলদিয়া বন্দরে ২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদকে। হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আর তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছের লোক। এই দু’জনকে এড়িয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করার জেরে জেলা বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যা তৈরি করেছে অস্বস্তি।
তাহলে কি শুভেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে শান্তনুর? রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘এটা বন্দরের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে সাংসদ–বিধায়কদের থাকতেই হবে এমন কোনও বিষয় নেই। এটা আধিকারিকদের নিয়ে বন্দরের নিজস্ব অনুষ্ঠান। এখানে বিধায়ক–সাংসদদের যোগ দেওয়ার দরকার নেই। অফিসের ভিতরের অনুষ্ঠানে তাঁরা কী করবেন? অফিসিয়াল প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার দরকার নেই।’ বন্দরের এই অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কিনা সেটা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।
আরও পড়ুন: সব্যসাচী দত্তকে বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কেন করা হল? নেপথ্যে নানা তথ্য
জেলা বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধায়ক এখন তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন। তাই তাঁকে এড়ানো হয়েছে। আর সাংসদকেও সেক্ষেত্রে ডাকা হয়নি। তবে আগে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নানা অনুষ্ঠানে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে দেখা গিয়েছে। আর একটি সূত্র দাবি করছে, সাংসদকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু উনি আসেননি। আবার বন্দরের নিজস্ব অনুষ্ঠানে বিধায়ক–সাংসদদের যোগ দেওয়ার দরকার নেই বলে মন্ত্রী মন্তব্যে করার জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আবার প্রকাশ্য সভায় হলদিয়া বন্দরের লেবার সাপ্লায়ার ঠিকাদারদের হয়ে সওয়াল করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন শান্তনু ঠাকুর বলে অভিযোগ উঠেছে।