ভুয়ো ভোটার রুখতে পাড়ায় পাড়ায় বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। আর তাতে যেসব ছবি সামনে আসছে তা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকায় বিস্তর অসংগতি ধরা পড়েছে। একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে, কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকায় মেয়ে ও বাবা হিসাবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে একজন বাঙালি ও অপরজন অবাঙালি।
এখানেই শেষ নয়। এই ভোটার তালিকায় দেখা গিয়েছে, মেয়ের থেকে বাবা এক বছরের ছোট। ভোটার তালিকা অনুসারে পায়েল ভাটিয়ার বয়স ৩৪ বছর। অথচ তাঁর বাবা রাহুল বণিকের বয়স ৩৩ বছর। এই ভোটার তালিকা অনুসারে বাবা ছোট আর মেয়ে বড়। এদিকে কীভাবে এই ঘটনা হল তা নিয়ে হতবাক তৃণমূলের নেতারা।
এখানেই শেষ নয়। দাবি করা হচ্ছে ওই রাহুলের আসলে বিয়েই হয়নি। সেক্ষেত্রে তাঁর মেয়ের অস্তিত্ব মানতে চায়নি পরিবার। এদিকে এই পায়েল ভাটিয়া বলে এক পরিচিত রয়েছেন। তবে তিনি তো থাকেন পাঞ্জাবের চন্ডীগড়ে। তিনি কাটোয়ার ভোটার তালিকায় চলে আসলেন কীভাবে?
ওই যুবকের মা জানিয়েছেন, আমার ছেলের তো বিয়েই হয়নি। তার মেয়ে আসবে কীভাবে? বিয়ে না হলে মেয়ে হওয়া কি সম্ভব? তিনি বলেন, মেয়ের বয়স ৩৪ বছর। আর বাবার বয়স ৩৩ বছর এটা কীভাবে হয়! কেউ চক্রান্ত করে আমার ছেলের বদনাম করার জন্য এসব করেছে। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধেও এনিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠছে।
এদিকে সংবাদমাধ্যম ওই যুবককেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। মেয়ের কথা শুনে তিনি দৃশ্যতই লজ্জিত। তিনি বলেন, আমার মেয়ে বলে কেউ নেই। কী হয়েছে তা তিনি বুঝতেও পারছেন না।
এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্য়ে চাপানউতোর চলছে। প্রশাসন এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব হল সেটাও বিষ্ময়ের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ রুখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ভোটার লিস্ট ‘ক্লিন’ করতে হবে। একজনও ‘ভূতুড়ে ভোটার’ রাখা যাবে না। আর এই কাজ করার জন্য দলের কর্মীদের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজে কোনও গাফিলতি হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।