২৬ হাজার চাকরিহারা। কার্যত ক্লাসরুম থেকে নেমে এসেছেন রাস্তায়। নানাভাবে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় মিছিল করেছেন তারা। এবার চলছে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি। তাঁদের দাবি শান্তিপূর্ণভাবেই তাঁরা আন্দোলন করতে চাইছেন।
চাকরিহারাদের আন্দোলনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে আরজিকরের আন্দোলন।
এসবের মধ্য়েই আগামী ২১ এপ্রিল চাকরিহারা শিক্ষকরা নবান্ন অভিযানে বের হবেন। আর সেই মিছিলে থাকতে পারেন আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারও।
সূত্রের খবর, চাকরিপ্রার্থী. চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চের তিনজন প্রতিনিধি সোমবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। আসলে হারানোর যন্ত্রণাটা রয়েছে উভয়েরই। এসবের মধ্য়েই আগামী ২১শে এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকরা।
সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, আমি প্রথম দিন থেকে বলছি ওরা যে অন্যায়ের শিকার হয়েছেন তার বিচার পাওয়া প্রয়োজন। সেই বিচার চেয়েই আগামী ২১শে এপ্রিল ওরা নবান্ন অভিযানে নামছে। আমরা সেই মিছিলে থাকব। যেকোনও ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে আমরা যোগ দেব। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকলকে এই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। টিভি ৯ বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, আমার মেয়ে দুর্নীতির শিকার। মেধা থাকা সত্ত্বেও যারা রাস্তায় রয়েছেন তাঁরাও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। আমার মেয়ে আর ফিরে আসবে না। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সবসময় রাস্তায় থাকব।
এদিকে চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছি আমরা। সেই অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য় নির্যাতিতার বাবা মাকে আহ্বানা জানানো হয়েছে।
আরজিকর আন্দোলনের জেরে বার বার উত্তাল হয়েছিল বাংলা। গোটা বাংলা জুড়ে ডাক উঠেছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস। দিনের পর দিন ধরে চলেছে আন্দোলন। বার বার অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের। এবার নতুন আন্দোলন। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে নতুন করে দানা বাঁধছে আন্দোলন। ইতিমধ্য়েই জেলায় জেলায় ডিআই অফিসের সামনে আন্দোলন হয়েছে। এবার একেবারে নবান্ন অভিযান। বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা। আর সেই আন্দোলনে এবার তাঁরা পাশে পাচ্ছেন আরজিকরের সেই নির্যাতিতার বাবা মাকে। এবার চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে পায়ে পা মেলাবেন নির্যাতিতার পরিবারও। আপাতত এমন আশ্বাস মিলেছে।