সম্প্রতি ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে যায় রাজনীতির অলিন্দে। তখন বিদ্রোহের ঢেউ আছড়ে পড়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। তাই এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার ‘ফর্ম’ সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে সতর্ক পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। জেলাগুলিকে এই বিষয়ে একাধিক নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। আর তারপরই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সামনে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন আছে। তার উপর ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই এখন থেকে সতর্ক পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোনও নাগরিক যদি যোগ্য বয়সের অনেক পরে নাম তোলার আবেদন করেন তাঁর আবেদন অত্যন্ত খুঁটিয়ে দেখতে হবে। কেন এতদিন পর ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চাইছেন সেটার কারণ জানতে হবে। আর যদি নাম তোলার বাড়তি হিড়িক দেখা যায় তাহলে সেসব সরেজমিনে দেখতে হবে। রবিবার এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সব জেলার সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাকদ্বীপে সম্প্রতি ফর্ম পরীক্ষা নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়, তাই এমন সতর্কমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রায়চক–কুকড়াহাটি রোরো পরিষেবা বন্দর শহরে, আট কোটি টাকা ব্যয়ে নয়া জেটি
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগ তুলে চাপে ফেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাই চাইছে, ভোটের ফর্ম পরীক্ষা করার কাজে নিযুক্তদের উপর নজরদারি করুক জেলা প্রশাসন। অস্বাভাবিক হারে কখনও ফর্ম জমা পড়লে বিষয় অত্যন্ত ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে। যেসব নাগরিক তথ্য প্রমাণের সমর্থনে পাসপোর্ট অথবা আধার কার্ড জমা দেবেন সেগুলিকে পৃথক করে সুচারুভাবে পরীক্ষা করতে হবে। যে নির্বাচনী আধিকারিক ফর্ম পরীক্ষা করবেন, তাঁদের লগ ইন আইডি এবং ফোন নম্বর বদল করলে সেটা যাতে রেজিস্টার খাতায় নথিভুক্ত করতে হবে।