শিক্ষাক্ষেত্রে ফের যৌন হেনস্থা। বাগদা থানা এলাকার একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্লাস ফাঁকা থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শিমুল বিশ্বাস। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলে শিক্ষককে আটকে রেখে মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। (আরও পড়ুন: 'কিছু হলেও মিটিয়ে দিন' বলার মানে তো ভিক্ষা! ডিএ মামলায় 'অপমানিত' সরকারি কর্মীরা)
আরও পড়ুন: মালদার স্কুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, থানায় পড়ুয়ারা
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বৃষ্টির কারণে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ক্লাস শেষে শিমুল বিশ্বাস অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিলেও ওই ছাত্রীকে ছুটি দেননি। তাকে ক্লাসরুমে থাকতে বলেন। অভিযোগ, ক্লাসরুম ফাঁকা হওয়ার পর তিনি ছাত্রীর শরীরে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করেন। ঘটনার পর ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসলেও চুপচাপ ছিল। পরে সোমবার স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। মেয়ের এই আচরণে সন্দেহ হওয়ায় মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরেই শিমুলের এই কুকর্মের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। (আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে হামলার হুমকি, এরই মাঝে মীরপুর ক্যানটনমেন্টে পাক নাগরিক নিয়ে গুঞ্জন)
পড়ুন: জলপাইগুড়ির স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবি
মঙ্গলবার ছাত্রীর পরিবার স্কুলে গিয়ে শিমুলের মুখোমুখি হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য অভিভাবকরাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা শিমুলকে স্কুলে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেয়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিভাবকরা স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।