মালদার মানিকচকের একটি স্কুলের বাংলা শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে কয়েকজন ছাত্রী। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই শিক্ষক একাধিকবার অশালীন আচরণ করেছেন। নানা অজুহাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়েছেন, কুপ্রস্তাব দিয়েছেন এবং খারাপ ভাষায় উত্ত্যক্ত করেছেন বলে অভিযোগ। বারবার অভিযোগের পরও প্রধান শিক্ষক যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায়, ছাত্রীরা ভূতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবি
একাধিক ছাত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলা শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। এক ছাত্রী জানায়, শিক্ষক পড়ানোর নাম করে ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করেন। প্রধানশিক্ষককে জানিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত পুলিশের সাহায্য নিতে বাধ্য হয় ছাত্রীরা। অন্য এক ছাত্রী অভিযোগ করে, তাকে শিক্ষক বারবার হুমকি দিয়েছেন, ক্লাসে অপমান করেছেন। এর ফলে ওই ছাত্রীর লেখাপড়া ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বলেন, শিক্ষার্থীদের শাসন করার জন্য তিনি কঠোর হতেন, যা তাদের অপছন্দ। এর জেরেই ছাত্রীরা মিথ্যে অভিযোগ তৈরি করেছে।
প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেন যে ছাত্রীদের অভিযোগ তার কাছে পৌঁছেছিল এবং তদন্তের জন্য শিক্ষককে বর্তমানে শোকজ করা হয়েছে। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। ভূতনি থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে দ্রুত তদন্ত শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মাানুষজন স্কুল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল।