সরকারি জমি দখল, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরেই রাজ্যজুড়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন। এই আবহেই এবার রাজ্য জুড়ে জাল লটারির বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে নামল সিআইডি। জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে লটারি বিক্রির অভিযোগে প্রায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। এছাড়াও লটারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে একাধিক নথি ও জাল লটারি বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। সব মিলিয়ে ১৭ টি মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: লটারিতে ভুয়ো পুরস্কারের তালিকা বের করে টাকা হাতানোর চেষ্টা প্রতারকের
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেআইনিভাবে লটারি বিক্রির বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় অভিযানে নামেন সিআইডির গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রের খবর, সম্প্রতি একাধিক জায়গা থেকে এনিয়ে তারা অভিযোগ পেয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ টি মামলা রুজু করা হয়েছিল।
অভিযোগ উঠেছিল, এই সমস্ত লটারি বিক্রেতারা সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ভুয়ো লটারি বিক্রি করছে। আর তা না জেনেই সকাল থেকে সেই লটারির কাউন্টারগুলিতে ভিড় করছেন বহু সাধারণ মানুষ। বারবার লটারি কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকেই। কারও কপালে লটারি বাঁধছে না। আর এভাবেই জাল লটারি বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করছে লটারি বিক্রেতারা।
লটারির ব্যবসা করে অনেকেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছে। নামে বেনামে সম্পত্তি কিনছে অনেকেই। অথচ লটারি বিক্রির দরুন রাজস্ব পৌঁছাচ্ছে না রাজ্য সরকারের কোষাগারে। এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই বৃহস্পতিবার থেকে বেআইনি লটারির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালায় সিআইডি।
সূত্রের খবর, এমন অনেক জেলাই রয়েছে যেখানে কয়েকশো বেআইনি লটারির কাউন্টার তৈরি হয়েছে। আর এই বেআইনি লটারির কারবার চালানোর জন্য স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। ফলে এভাবেই দিনের পর দিন বেআইনিভাবে লটারির কারবার চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সিআইডির একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বেআইনি কারবারে যাদের মদত রয়েছে তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, বহু বেআইনি লটারির ব্যবসায়ী সিআইডির এই অভিযানের পরেই গা ঢাকা দিয়েছে।