আনিস খান হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুন হওয়া ছাত্রনেতাকে নিজের ফেবারিট বলে দাবি করেছেন। এমনকী ‘সিট’ গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, হরিয়ানায় সংখ্যালঘু খুন হলে এখানে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে এখন কেন প্রতিবাদ জানাচ্ছে না? সরকার পুলিশকে দিয়ে খুন করিয়েছে আমতার ওই ছাত্র নেতাকে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? বুধবার ঘাটালে পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘পুলিশ খুন করেছে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করছি, হরিয়ানায় সংখ্যালঘু খুন হলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আজ ওনার বিপ্লবী ভাইরা কোথায়? এভাবেই আমাদের ২০০ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। তখন কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। যারা সংখ্যালঘুদের সবথেকে বড় হিতাকাঙ্খী তারা রাস্তায় নেই কেন?’
এখন আনিস খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে রাজনীতির আগুনে রুটি সেঁকার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিজেপিকে সেভাবে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ–আন্দোলন করতে দেখা না গেলেও রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে দেখা যাচ্ছে। বামপন্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। শাসকদল এবং সরকার এই ঘটনার সত্য সামনে আনতে মরিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ফেসবুক পোস্টের জন্যই নাকি আনিসের বাড়িতে হাজির হয়েছিল শুভেন্দু জানিয়েছেন, আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। আনিসের দাদা সাবিরের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছেন তিনি। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।