
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গ্রাম আর জেলার সঙ্গে শহরের লড়াই হতে চলেছে। রবিবার দাঁতনের সভায় এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বেশিরভাগ মন্ত্রী শহর থেকে— এই অভিযোগ তুলে এদিন সরব হলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পঞ্চায়েতমন্ত্রী, পুরমন্ত্রী সব কলকাতার বাসিন্দা। আর আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?’ ভোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘এই লড়াই গ্রামের লড়াই, জেলার লড়াই।’
এদিন গ্রাম ও জেলার পাশে শহরকে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘উত্তর কলকাতা তথা পুরনো কলকাতাকে বলব সঙ্গ দিন, আপনাদের জেলা বাটখারা মন্ত্রী পেয়েছে। ৫০০ বছরের পুরনো শহর হাওড়াকে বলব সঙ্গ দিন, আপনাদের জেলা সমবায়মন্ত্রী পেয়েছে। পরে আবার বনমন্ত্রী।’ শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘আমি কোনওদিন শুনিনি যে একজন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ওই শ্রেণির বাইরে অন্য লোক হয়েছে। কিন্তু মাঝে দেখি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই দফতরের মন্ত্রী করে দেওয়া হয়েছে।’
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলছিলেন, ‘লক্ষ লক্ষ পার্মানেন্ট চাকরি তুলে দিয়ে কনট্র্যাকচ্যুয়াল চাকরি করে দিয়েছে এই সরকার। সিপিএম তাও প্রত্যেক বছর এসএসসি–তে চাকরি দিত। কিন্তু এখন প্রাইমারি, টেট–এর ছেলেরা চাকরি পায় না। পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি বেকার বর্তমান শাসকদলের জন্য হয়েছে।’ শুভেন্দু এদিন আক্ষেপ করে বলেন, ‘রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন এতটাই কম যে বিয়ের জন্য তাঁদের মেয়ে দিতে কোনও পরিবার রাজি হয় না।’ এর পরই তাঁর আশ্বাস, ‘বিজেপি সিভিক ভলান্টিয়ারদের এমন বেতন দেবে যাতে তাঁদের ভাল মেয়ের বাড়ির সঙ্গে বিয়ে হয়। বিজেপি চাকরি খাওয়ার দল নয়।’
সম্প্রতি শঙ্করপুরে বন্দর তৈরি হবে বলে জানিয়ে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘ভোট এলেই বলবে শঙ্করপুরে বন্দর হবে। ২০১৫ সাল থেকে শুনছি। এক বছর আগে সাইট অফিস শিলান্যাস হয়েছে।’ মমতাকে কটাক্ষ করে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আপনি যা ল্যান্ড পলিসি করে রেখেছেন তাতে পশ্চিমবঙ্গে কিচ্ছু হবে না।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports