তাঁর বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি বর্মন। শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় গিয়ে বিজেপির যে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন, তিনি আসলে টিনের বাড়িতে ভাগ করেন। বিজেপির প্রধান দীপ্তি বর্মন। তিনি বলেন, আবাস যোজনা কেন, ১০০ দিনের কাজেরও কোনও সুবিধা নিইনি আমরা।গত শনিবার অভিষেক বলেছিলেন, কোচবিহারের ১২৮টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৭টা তৃণমূলের দখলে। শুধুমাত্র ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। সেখানকার প্রধান দীপ্তি বর্মনের স্বামী সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের আবাস যোজনায় নাম এসেছে। পরিবারের আরও সদস্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন।রবিবার দিপ্তীদেবীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দেওয়াল - চাল সব গ্যালভানাইজড আয়রন শিটের। দাওয়ায় বসে দিপ্তীদেবী রান্নার আয়োজন করছেন। তিনি বলেন ২০১৮ সালে আবাস যোজনায় আমার স্বামীর নাম এসেছিল। আমরা নাম কেটে দিতে অনুরোধ করে বিডিওকে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি বাড়ি দেখে বলেছিলেন, তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কোনও দরকার নেই। কিন্তু আমাদের পরিবারের ২ জনের নাম তালিকায় এসেছে। তাই আমাদের আর ঘরের দরকার নেই বলে জানিয়েছি। আমাদের জব কার্ডেও কোনও সুবিধা নিইনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এসব ভুলভাল বলেছেন জানি না। ওনাকে আমার বাড়িতে ঘুরে যেতে অনুরোধ করব। আমি কেন আমার সমস্ত আত্মীয়রাও এই টিনের বাড়িতেই থাকেন। অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করছেন উনি।তৃণমূলের দাবি, প্রভাব খাটিয়ে স্বামী, শ্বশুর ও কাকাশ্বশুরের নাম আবাস যোজনার তালিকায় তুলেছেন দীপ্তিদেবী।