সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল ছিলেন অরূপ সাইনি। ২০০৪ সালে অধাসেনাবাহিনীতে কাজে যোগ দেন। প্রথমে তাঁর পোস্টিং ছিল দুর্গাপুরের অমরাবতীতে। পরে তাঁকে পোস্টিং দেওয়া হয় শ্রীনগরে। তারপর মণিপুরে পোস্টিং দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এবার আর তাঁর বাড়ি ফেরা হল না।
Ad
মণিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত বাঙালি জওয়ানকে শেষ বিদায়, জনস্রোত বাঁকুড়ার গ্রামে
লোকসভা ভোটের মধ্যেই জঙ্গি হামলা হয়েছে মণিপুরে। এই ঘটনায় নিহত দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন বাঙালি। তাঁর নাম অরূপ সাইনি। শনিবার তাঁর কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর পাঁচাল গ্রামে। জওয়ানের দেহ বাড়ি পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শহিদকে শেষ বিদায় জানাতে জনস্রোত দেখা দেয় গ্রামে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার নারাইসেনায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই হামলার জেরে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও দুই জওয়ান আহত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল ছিলেন অরূপ সাইনি। ২০০৪ সালে আধা-সেনাবাহিনীতে কাজে যোগ দেন। প্রথমে তাঁর পোস্টিং ছিল দুর্গাপুরের অমরাবতীতে। পরে তাঁকে পোস্টিং দেওয়া হয় শ্রীনগরে। তারপর মণিপুরে পোস্টিং দেওয়া হয় তাঁকে।
শহিদ জওয়ানকে শেষ বিদায় জানাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই একটি মঞ্চ করা হয়। সকাল থেকেই সেখানে কাতারে-কাতারে লোক ভিড় করেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি এবং রাজ্য পুলিশের অন্যান্য কর্তারা জওয়ানকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত হন। পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও সেখানে উপস্থিত হন। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল ও বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ জওয়ানের পরিবারকে শ্রদ্ধা জানান। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অরূপের পেটে গুলি লাগার পাশাপাশি শরীরে বোমার আঘাত লাগে।
জানা গিয়েছে, জঙ্গি হানায় নিহতদের মধ্যে সাব-ইন্সপেক্টর এন সরকার অসমের কোকরাঝাড় জেলার বাসিন্দা। এছাড়া আহত হন ইন্সপেক্টর যাদব দাস এবং কনস্টেবল আফতাব দাস। তাদের ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বিপদমুক্ত বলে জানা গিয়েছে হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।