বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন নিরাপদভাবে জীবনযাপনের আশায়। এহেন বাংলাদেশি যুবতীকে বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক পরিবারের সাহায্যেই ভারতে এসে এখানের পরিচয়পত্র বানিয়েছিলেন চুমকি। স্বরূপনগরের বাংলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ শিকদার ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলী শিকদারের বাড়িতে থাকতেন এই চুমকি। তাঁকে আশ্রয় দিয়ে নকল মা পরিচয়ে পরিচয়ত্র পেতে সাহায্য করেছিলেন শ্যামলীদেবী। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: 'ঘেয়ো কুকুর নাকি?' দলবদলের জল্পনার মাঝেই ২১ জুলাইয়ের সকাল সকাল বিস্ফোরক দিলীপ)
আরও পড়ুন: 'আমার মেয়েও শহিদ…', ২১ জুলাইয়ের আগে মমতাকে বার্তা আরজি করের নির্যাতিতার বাবার
আরও পড়ুন: ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই 'শহিদ' হয়েছিলেন যুব কংগ্রেসের কোন ১৩ জন? কী হয়েছিল সেদিন?
জানা যায়, একবছর আগে শ্যামলী শিকদারের বাড়িতে এসে ওঠেন চুমকি। স্থানয়ীদের কাছে বিশ্বনাথ-শ্যামলীরা দাবি করেন, সেই তরুণী তাঁদের আত্মীয়। পরে পুলিশ সন্দেহের বশে তদন্ত শুরু করে এবং অভিযান চালায় শ্যামলীদেবীর বাড়িতে। জানা যায়, চুমকি নামের তরুণীর আসল বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল থানা এলাকায়। দালাল মারফত লুকিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তিনি এদেশে এসে বসিরহাটের ওই পরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে বিশ্বনাথ শিকদার পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তাঁর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। চুমকি এবং শ্যামলীদেবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের মন জয়ে একুশের মঞ্চে তৃণমূলের 'হাতিয়ার' NRC নোটিশ পাওয়া ব্রজবাসী?)
আরও পড়ুন: প্রয়াত মমতার প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য, বিধায়ক ছিলেন টানা ৩০ বছর
আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতায় 'তৃণমূলের বাংলাদেশি নেত্রী'!
ধৃতদের রবিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানায় পুলিশ। তাঁরা অনুপ্রবেশকারীদের কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটক করার ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৭ জুলাই মিছিল-সমাবেশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হয়রানি নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের অভিযোগ, বাংলায় কথা বললেই নাকি বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। তবে এর মধ্যে বহু মানুষের কাছ থেকে আধার কার্ড পাওয়া গেলেও জানা গিয়েছে, সেগুলি ভুয়ো বা ঘুরপথে বেআইনি ভাবে সেগুলি বানানো হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এমন এক সময় গ্রেফতার হলেন বাংলাদেশি তরুণী।