আজ, রবিবার চিতা বাঘের খোঁজে এবার চা–বাগানে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগালো বন দফতর। এই ঘটনা নিয়ে একটা আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। সেই আতঙ্ক কাটাতে ড্রোন ক্যামেরায় চলল জোরদার তল্লাশি। কারণ চিতা বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছে বানারহাট ব্লকের লক্ষ্মীপাড়া চা–বাগানের শ্রমিকদের। এখানে চিতা বাঘের পায়ের ছাপ থেকে শুরু করে কেউ কেউ আড়াল থেকে দেখতেও পেয়েছেন। তারপর থেকেই বিষয়টি চাউর হয়ে গিয়েছে। এবার চিতাবাঘের খোঁজে বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা–বাগানে লাগানো হল ট্র্যাপ ক্যামেরা। ওড়ানো হল ড্রোন।
এদিকে চা–শ্রমিকদের মধ্যে এখনও জাঁকিয়ে বসে আছে চিতা বাঘের আতঙ্ক। সেটা কাটাতে লক্ষ্মীপাড়া চা–বাগানে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াডের পক্ষ থেকে করা হয়েছে সচেতনতা শিবির। পাশাপাশি চা–বাগানের ঘুরে বেড়ানো চিতা বাঘগুলিকে চিহ্নিত করতে ওড়ানো হয়েছে ড্রোন। একইঙ্গে বাগানের বি বি সেকশনে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগালো বন দফতর। যাতে রাতের অন্ধকারে এখানে চিতা বাঘ ঢুকে পড়লে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। একবার চিতা বাঘের যাতায়াত চিহ্নিত করতে পারলে তাকে পরে খাঁচায় পোরা অসম্ভব হবে না। এই কারণেই চা–বাগানে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। না হলে চা– শ্রমিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপালকে না সরিয়ে, সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যাচার’, মমতার তোপের মুখে মোদী
অন্যদিকে এই চা–বাগানে বহু শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের উপর যদি চিতা বাঘ হামলা করে তাহলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। এই বিষয়ে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, ‘আজ চা–বাগানের বি বি ৬ এক্সটেনশন এবং বি বি ১৪ নম্বর সেকশনে দেখা গিয়েছে দুটি পূর্ণবয়স্ক চিতা বাঘ। চা–বাগানের বি বি ৩ ডি সেকশনে একটি চিতা বাঘের শাবককে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। এমনকী বাগানের ৫ নম্বর সেকশনে একটি চিতা বাঘকে দেখা গিয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করেছে। বাগানের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাওয়া চিতা বাঘগুলি একটি, নাকি একাধিক চিতা বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা নিশ্চিত করতেই বন দফতরের পক্ষ থেকে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে।’