বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনে চরমে পৌঁছল ২ পরিবারের চাপানউতোর। নিহতের পরিবারের দাবি, লাগাতার তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন আততায়ী সুশান্ত। ওদিকে সুশান্তর পরিবারের দাবি। সুতপাই ওই যুবককে অশান্ত করে তুলেছিল। এরই মাঝে পুলিশের হাতে এসেছে সুতপাকে পাঠানো সুশান্তর সাম্প্রতিক কয়েকটি মেসেজ। তাতেও সুতপাকে স্পষ্ট প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে সে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে সুতপাকে একটি মেসেজ পাঠান সুশান্ত। তাতে তিনি লেখেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি। স্বপ্ন দেখি সুন্দর জীবনের। কিন্তু আমার জীবন তুই নষ্ট করে দিচ্ছিস। বিশ্বাস করতে পারছি না তোকে। তুই নষ্ট করছিস আমার মতন অনেককেই। এ ভাবে চলতে থাকলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে তোর'। এই মেসেজের কথা সুতপার পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবী জানতেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এমনকী এর পর পরিবারকে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন সুতপা।তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার দিন স্থানীয় একটি শপিং মলে এক যুবকের সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন সুতপা। তখনই তাঁকে খতম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সুশান্ত। হল থেকে বেরিয়ে মেসে ঢোকার মুখেই তাঁর ওপর হামলা চালায় যুবক। যে যুবকের সঙ্গে সুতপা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন তাঁকে ইতিমধ্যে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। তিনি জানিয়েছেন, সুতপা নিছক তাঁর বন্ধু ছিলেন। কোনও যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে জানা ছিল না।ওদিকে সুশান্তর পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির দাবি, ছোটবেলা থেকে বেশ নিয়মানুবর্তী যুবক ছিলেন সুশান্ত। পড়াশুনোতেও খারাপ ছিলেন না। সুতপাই প্রথমে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না সুশান্ত। বেশ কিছুদিন পর তাতে সম্মতি দেন। কিন্তু এর পর থেকে সুশান্তকে উপেক্ষা করতে শুরু করেন সুতপা।তদন্তকারীরা বলছেন, অভিযুক্তের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল দেখে মনে হচ্ছে গত ১ বছর ধরে অত্যন্ত মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিল সে। এই অস্থিরতা থেকে বেরোতেই সুতপাকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা করে সুশান্ত।