বহরমপুরে ছাত্রী খুনে পালটা আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে অভিযুক্তের পরিবার। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর কাকিমার দাবি, সুতপার থেকে সুশান্তকে দূরে সরাতে তাঁকে ক্লাবে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছেন সুতপার বাবা। এই অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।সুশান্তর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার বলরামপুরের বাসিন্দা সে। গৌড় কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনো করত যুবক। সেজন্য ইংরেজবাজার শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে পিসি শান্তিরানি চৌধুরীর বাড়িতে থাকতেন তিনি। উলটো দিকেই বাড়ি সুতপাদের। বছর তিনেক আগে তাঁর সঙ্গে সুতপার প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।সুশান্তর কাকিমা পুতুল চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘সুতপার সঙ্গে সুশান্তর অন্তত ২ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। মেয়েকে সম্পর্ক থেকে বার করতে সুশান্তকে পাড়ার ক্লাবে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছিলেন সুতপার বাবা। এমনকী তাঁর ল্যাপটপও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ বসু। তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে এক রাতে সুতপাদের বাড়িতে মত্ত অবস্থায় হামলা চালিয়েছিল সুশান্ত ও তার কয়েকজন বন্ধু। এর পর সুতপার মা - বাবা ও কয়েকজন আত্মীয় আমার কাছে আসেন। ফোনে আমি সুতপার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, সুশান্তর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু ক্লাবে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। মারধর করে থাকলে পুলিশে ডায়েরি করেনি কেন’?