জেএসডব্লিউ গ্রুপ দুর্গাপুর বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নত করার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করতে চলেছে। আজ, শনিবার সংস্থার পক্ষ থেকে তা ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে আঞ্চলিক সংযোগ এবং স্থানীয় বিমান চলাচল সেক্টরের জন্য একটি বড় উৎসাহ তৈরি করবে। এই বিনিয়োগ গোটা দুর্গাপুর অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটাবে। আর অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য জেএসডব্লিউ গ্রুপের কৌশলগত প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।
এদিকে এই বিমানবন্দর অন্ডালে অবস্থিত। দুর্গাপুরের এই বিমানবন্দর কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর বলেই পরিচিত। পশ্চিম বর্ধমান বাংলার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এখানে এরোট্রোপলিস প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়েছে এরোট্রোপলিসের একটি সমন্বিত উপাদান হিসাবে। গোটা শহরটি মুড়ে যাবে বিমানবন্দর দিয়ে। পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আরও এয়ারলাইনসকে আকৃষ্ট করবে। পর্যটনকে উন্নীত করতে এবং বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজ করবে। যার ফলে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডায় একটা অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: দিঘায় সকাল থেকে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, মোহনায় ডুবল মৎস্যজীবীদের ট্রলার, ভাঙল ভুটভুটি
অন্যদিকে পরিকল্পিত এই বিনিয়োগ দুর্গাপুর বিমানবন্দরের নানা আপগ্রেড এবং তার সম্প্রসারণকে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন টার্মিনালের উন্নয়ন, উন্নত রানওয়ে সুবিধা এবং উন্নত যাত্রী পরিষেবা। দুর্গাপুর এবং তার আশেপাশে বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করবে। তার ফলে বিমানবন্দরের ক্ষমতা এবং অপারেশনাল দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই জেএসডব্লিউ গ্রুপ বন্দর এবং বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে।
এছাড়া এই বিনিয়োগ হলে বাংলার প্রভূত উন্নতি হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অন্ডাল বিমানবন্দরের বারবার উন্নতি ঘটুক চেয়েছেন। এবার তা ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সংস্থা সূত্রে খবর, ‘জেএসডব্লিউ গ্রুপ লগ্নি করতে চায় দুর্গাপুরে। এটা সম্পূর্ণ বিমানবন্দর এবং শহরের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করা হবে। এখানে নানা কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। এখানে আইটি পার্ক গড়ে তোলা হবে। আর নানা সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে।’ এই বিনিয়োগ হলে দুর্গাপুর এবং সংলগ্ন জেলার উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।